বিশ্ব ক্রিকেটে যুক্তরাষ্ট্র ঠিক কখনোই বড় কোনো শক্তি নয়। বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশটিতে নেই ক্রিকেটের বলার মতো কোনো কাঠামোও। তবুও আইসিসির সহযোগী এই দেশ নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দিয়েছে বাংলাদেশের মতো দেশকে সিরিজে হারিয়ে। আর বাংলাদেশকে হারানো যুক্তরাষ্ট্র এবার জানান দিল আরও বড় লক্ষ্যের। যুক্তরাষ্ট্রের মতো আইসিসির সহযোগী দেশের বিরুদ্ধে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ ইতোমধ্যেই খুঁইয়েছে শান্তরা। আজ যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য প্রথমবারের মতো কোনো টেস্ট দলকে ধবলধোলাই করা। তবে বাংলাদেশ বধের অন্যতম নায়ক পেসার আলি খানতো রীতিমতো ভারত পাকিস্তানের মতো দলগুলোকেও হুমকি দিয়ে রাখলেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে ৫ উইকেটের জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় তুলে নেয় স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় ম্যাচে একসময়ে শঙ্কায় থাকা স্বাগতিক দলকে ১৮ ও ২০তম ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করে ম্যাচ জেতান আলি খান। আর এবারে নিজেদের ঘরের মাটিতে হওয়া বিশ্বকাপে ভারত, পাকিস্তান, কানাডা ও আয়ারল্যান্ডের গ্রুপে আছে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। গ্রুপে ভারত-পাকিস্তানের মতো দুই পরাশক্তি ও আয়ারল্যান্ডের মতো বিপদজনক দল থাকলেও আলি খান ভয় পাচ্ছেন না কাউকে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ পেসার বলেন, ‘আমরা ক্ষুধার্ত। বাংলাদেশকে খেয়েছি এবং সামনে যেই আসুক, সবাইকে খেতে চাই। এখনই সময় কিছু পরিবর্তন আনার ও গুছিয়ে নেওয়ার। দলকে ভারসাম্যপূর্ণ মনে হচ্ছে এবং সবাই ক্ষুধার্ত, আমি নিশ্চিত বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রে কিছু অঘটনের জন্ম দেবে।’ এ ছাড়াও বাংলাদেশের মতো দলকে টানা দুই ম্যাচ হারিয়ে স্বাগতিক দল আত্মবিশ্বাসীও, ‘বিশ্ব ক্রিকেটের মানচিত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে নিজের জায়গা করে দিতে হবে। বড় দলের বিপক্ষে জিতলে মানুষ তা অঘটন বলে চালিয়ে দেয়। কিন্তু তাদের দুইবার হারানো, টানা দুই ম্যাচে, সিরিজ জেতা কোনো অঘটন না। সুযোগ দিলে আমাদের প্রতিভা, দক্ষতা ও ক্ষমতা আছে (দেখানোর মতো)।’ যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে প্রতিবেশী কানাডার বিপক্ষের ম্যাচ দিয়ে। কানাডার পর ৬ ও ১২ জুন পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে খেলবে স্বাগতিকরা।
আর সাবেক দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে নিজেদের জাত চেনাতে মুখিয়ে আছেন আলী খান, ‘এটা বড় ঘটনা। এমন সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজের পারফরম্যান্সও। তবে আমরা যদি শুধু নিচের লেভেলে বা সহযোগী দলের সঙ্গে খেলি, আমরা সেখানেই রয়ে যাব। কিন্তু শীর্ষ দলগুলোর বিপক্ষে খেললে, তাহলেই তো অঘটন ঘটানোর সুযোগ পাব। এবং পূর্ণ সদস্যের বিপক্ষে খেলার সুযোগ বেশি পেলেই আমরাও ভবিষ্যতে তাদের জায়গায় যেতে পারব।’