আজ সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
Logo খুলনায় জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সবুজ দল Logo সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে বেত ভাঙ্গলেন প্রধান শিক্ষক Logo সাতক্ষীরায় স্বর্ণের বারসহ চোরাকারবারি আটক Logo কামালনগর ঈদগাহ বাজার কমিটির দ্বি- বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত Logo ইসলামকাটি ইউনিয়ন পরিষদ হতে মনোহরপুর ঋষিপাড়া পর্যন্ত রাস্তাটি মরণফাঁদে পরিণত,দেখার কেউ নেই Logo নর্থ ওয়েস্টার্নকে হারিয়ে চূড়ান্ত পর্বে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় Logo ডেঙ্গুতে আরো ১০ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৮৮৬ Logo সাতক্ষীরায় জমি না দেওয়ায় মিথ্যা মামলায় হয়রানি: প্রতিবাদের সংবাদ সম্মেলন Logo কপোতাক্ষ নদ থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার Logo সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সভাপতি শাহ আলম, সম্পাদক ইমদাদুল
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01971 211241

ব্যাংক খাতে অলিগার্ক সৃষ্টি হয়েছে : সিপিডি

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ০৮:১০:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪
  • ১০৫ বার পড়া হয়েছে

ব্যাংক খাতে অলিগার্ক সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাজধানীর লেকশোর হোটেলে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। ফাহমিদা খাতুন বলেন, শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলো মালিকানা পরিবর্তনের পর দুর্বল হয়েছে। সেখানে গোষ্ঠীগত দুঃশাসন চলছে। নিজেদের স্বার্থেই সেখানে অলিগার্ক তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ২০১২ সালের জুন মাস থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪২ হাজার ৭২৫ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ বেড়েছে। ২০২২ সালে ডিসেম্বর প্রান্তিকের হিসাব অনুযায়ী ব্যাংক থেকে খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ২০ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা। ওই সময়ে অবলোকনকৃত ঋণ ছিল ৪৪ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা। আর কোনো পুনঃতপশিলকৃত ঋণ ২ লাখ ১২ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ব্যাংক খাতে ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের পরিমাণ রয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। এর বাইরেও মামলায় আটকে থাকা এক লাখ ৭৮ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা ফেরত আশা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, সম্প্রতি ব্যাংকগুলো তাদের মুনাফা দেখিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতির কারণে ব্যাংক হাতের বিনিয়োগ কমেছে। এ জন্য তারা সরকারি বিভিন্ন বিলবন্ডে বিনিয়োগ করে মুনাফা দেখাচ্ছে। ব্যাংক যদি খেলাপি ঋণ তুলতে না পারে তখন তারা লোকসানে পড়ে। ওই সময় যদি সুদের হার বাড়তে থাকে তাহলে ব্যাংকগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়। এতে ব্যাংকগুলো বিপাকে পড়ে। সিপিডির এই শীর্ষ কর্তা বলেন, গত কয়েক বছরে ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত তারল্য বেড়েছে ঠিকই কিন্তু তাদের ক্যাশ হোল্ডিংস কমেছে। এ জন্য ব্যাংকগুলো টাকা সংকটে ভুগছে।তিনি বলেন, ব্যাংক খাতে ক্রমান্বয়ে খেলাপি ঋণ বাড়ছে। এর পেছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সুশাসন জবাবদিহিতার অভাব। নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের স্বাধীন সত্তা হারিয়েছে। এ কারণে ব্যাংক হাত ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, আমাদের আগের অর্থমন্ত্রী হঠাৎ করেই সরকারি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেখানে সিদ্ধান্ত ছিল দুর্বল ও ত্রুটিপূর্ণ। এখনো অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি নিয়ে আলোচনা চলছে। বলা হচ্ছে, সরকারি অ্যাসিড ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি গড়ে তোলা হবে। এসব কোম্পানিকে আর্থিক সহায়তা দেবে সরকার। এরপর ব্যাঙ্গালোর খারাপ দিনগুলো কিনে নেবে এ কোম্পানি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ওই কোম্পানি যে ভালো হবে তার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা? ওই অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির অর্থ তো জনগণের ট্যাক্সের টাকায় দেওয়া হবে। যদি ব্যাংকগুলো দেখে খারাপ ঋণগুলো এভাবে বিক্রি করে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাহলে তারাও এই সুযোগ নিতে চাইবে। এটা একটা সাইকেল তৈরি হবে। তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বেও এ সেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি রয়েছে। ওই সব প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের অর্থের জোগান নেয় বন্ড মার্কেট থেকে। কিন্তু আমাদের এখানে তো বন্ড মার্কেটই নেই।

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

খুলনায় জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সবুজ দল

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

ব্যাংক খাতে অলিগার্ক সৃষ্টি হয়েছে : সিপিডি

আপডেট সময়: ০৮:১০:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪

ব্যাংক খাতে অলিগার্ক সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাজধানীর লেকশোর হোটেলে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। ফাহমিদা খাতুন বলেন, শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলো মালিকানা পরিবর্তনের পর দুর্বল হয়েছে। সেখানে গোষ্ঠীগত দুঃশাসন চলছে। নিজেদের স্বার্থেই সেখানে অলিগার্ক তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ২০১২ সালের জুন মাস থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪২ হাজার ৭২৫ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ বেড়েছে। ২০২২ সালে ডিসেম্বর প্রান্তিকের হিসাব অনুযায়ী ব্যাংক থেকে খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ২০ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা। ওই সময়ে অবলোকনকৃত ঋণ ছিল ৪৪ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা। আর কোনো পুনঃতপশিলকৃত ঋণ ২ লাখ ১২ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ব্যাংক খাতে ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের পরিমাণ রয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। এর বাইরেও মামলায় আটকে থাকা এক লাখ ৭৮ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা ফেরত আশা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, সম্প্রতি ব্যাংকগুলো তাদের মুনাফা দেখিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতির কারণে ব্যাংক হাতের বিনিয়োগ কমেছে। এ জন্য তারা সরকারি বিভিন্ন বিলবন্ডে বিনিয়োগ করে মুনাফা দেখাচ্ছে। ব্যাংক যদি খেলাপি ঋণ তুলতে না পারে তখন তারা লোকসানে পড়ে। ওই সময় যদি সুদের হার বাড়তে থাকে তাহলে ব্যাংকগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়। এতে ব্যাংকগুলো বিপাকে পড়ে। সিপিডির এই শীর্ষ কর্তা বলেন, গত কয়েক বছরে ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত তারল্য বেড়েছে ঠিকই কিন্তু তাদের ক্যাশ হোল্ডিংস কমেছে। এ জন্য ব্যাংকগুলো টাকা সংকটে ভুগছে।তিনি বলেন, ব্যাংক খাতে ক্রমান্বয়ে খেলাপি ঋণ বাড়ছে। এর পেছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সুশাসন জবাবদিহিতার অভাব। নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের স্বাধীন সত্তা হারিয়েছে। এ কারণে ব্যাংক হাত ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, আমাদের আগের অর্থমন্ত্রী হঠাৎ করেই সরকারি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেখানে সিদ্ধান্ত ছিল দুর্বল ও ত্রুটিপূর্ণ। এখনো অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি নিয়ে আলোচনা চলছে। বলা হচ্ছে, সরকারি অ্যাসিড ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি গড়ে তোলা হবে। এসব কোম্পানিকে আর্থিক সহায়তা দেবে সরকার। এরপর ব্যাঙ্গালোর খারাপ দিনগুলো কিনে নেবে এ কোম্পানি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ওই কোম্পানি যে ভালো হবে তার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা? ওই অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির অর্থ তো জনগণের ট্যাক্সের টাকায় দেওয়া হবে। যদি ব্যাংকগুলো দেখে খারাপ ঋণগুলো এভাবে বিক্রি করে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাহলে তারাও এই সুযোগ নিতে চাইবে। এটা একটা সাইকেল তৈরি হবে। তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বেও এ সেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি রয়েছে। ওই সব প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের অর্থের জোগান নেয় বন্ড মার্কেট থেকে। কিন্তু আমাদের এখানে তো বন্ড মার্কেটই নেই।