আজ বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
Logo জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস Logo কলারোয়ায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ Logo স্থানীয় সরকারের সাথে লবি মিটিং Logo আকবর আলী ফাউন্ডেশন ও সার্বিক গ্রাম উন্নয়নের উদ‍্যোগে কম্বল বিতরণ Logo সাতক্ষীরার নবাগত জেলা ও দায়রা জজকে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের শুভেচ্ছা Logo মেডিকেলে থাকছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা, যাচাই-বাছাই ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত Logo গাজার যুদ্ধবিরতি নিয়ে সন্দেহ রয়েছে ট্রাম্পের Logo সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের আয়কর নথি জব্দের আদেশ Logo দেশের ৬৮ ভাগ বাস-ট্রাকের চালক কানে শোনেন না: পরিবেশ উপদেষ্টা Logo ইউক্রেনের যুদ্ধ অবসানে চুক্তি করতে চান জেলেনস্কি: ট্রাম্প
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01971 211241

মেহেদীর চোখে চ্যালেঞ্জটাই বেশি

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ০৭:২২:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

আধুনিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রানই আসল কথা। তাই ব্যাটাররাও চেষ্টা করেন সেভাবেই খেলার। প্রথম পাওয়ার-প্লের ছয় ওভারে ৩০ গজের বাইরে মাত্র দুই জন ফিল্ডার থাকায়, ব্যাটারদের টার্গেটটা থাকে এ সময়েই। বড় কিছু শট খেলে রান বাড়িয়ে নেওয়ার। তাই এ সময় বল করাটা স্বাভাবিকভাবেই চ্যালেঞ্জিংই হয় বোলারদের জন্য। বাংলাদেশের অফ স্পিনার শেখ মেহেদী হাসানও জানালেন সেরকম কথাই। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এ কাজটা নিয়মিতই করতে হয় মেহেদীকে। এখন পর্যন্ত যে ৪৫ ইনিংসে বোলিং করেছেন, ২৭ বারই এক প্রান্ত থেকে উদ্বোধন করেছেন এ ২৯ বছর বয়সি। সফলও হয়েছেন, ক্যারিয়ারে তার ৩৮টি উইকেটের ২০টিই এসেছে পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারের মধ্যে। রান আটকাতেও বেশ সফল তিনি; ক্যারিয়ারে ইকোনমি রেট ৬.৩৮ হলেও প্রথম ৬ ওভারে মেহেদী মাত্র ৫.৬৭ করে রান দিয়েছেন।

বিসিবির প্রকাশিত এক ভিডিওতে পাওয়ারপ্লেতে বোলিং নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মেহেদী বলেছেন চ্যালেঞ্জের কথা, ‘উপভোগ করা থেকে চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি সেখানে। যেহেতু পাওয়াপ্লেতে (বোলিং), (আর) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট (হচ্ছে) রানের খেলা। এখানে যত কম রানে আটকানো যায় আর কি বোলিং করে। ওই চ্যালেঞ্জটাই বেশি থাকে। উপভোগ (করা) থেকে চ্যালেঞ্জটা বেশি থাকে।’ এরপরও পাওয়ারপ্লের বোলিংটা উপভোগ করতে পারলে সেটি দলের জন্যই ভালো, মনে করিয়ে দিয়ে মেহেদী বলেছেন, ‘কঠিন পরিস্থিতি থাকে পাওয়ারপ্লেতে। উপভোগ (করার সুযোগ) তো একদমই থাকে না। (এরপরও) সেখানে যদি উপভোগ করতে পারি, তাহলে দলের লাভটাই বেশি হয়।’

২০১৮ সালে অভিষেক হলেও দ্বিতীয় ম্যাচটি খেলতে প্রায় ২ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল মেহেদীকে। মেহেদী ফিরে এসেছেন আবার। তবে ফেরাটা সহজ ছিল না জানিয়ে মেহেদী বলেছেন, এবারের বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত একটা চ্যালেঞ্জও নিয়েছেন, ‘ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জ আছে (বিশ্বকাপে)। প্রথম রাউন্ড শেষ করে পরের রাউন্ডে আগে যাওয়া।’ বলেছেন আরেকটি ব্যক্তিগত লক্ষ্যের কথাও, ‘আমি সাধারণত যেভাবে পারফরম্যান্স করি, ওভাবে করতে চাই না বিশ্বকাপে। এর চেয়ে আরও ভালো পারফরম্যান্স করতে চাই।’

বাংলাদেশ দলের ফিনিশিংয়ের দায়িত্বটা এখন সামলাতে হচ্ছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকেই। পরীক্ষিত এ পারর্ফমার দলের বিপদে ইনিংস তৈরির দায়িত্ব যেমন সামলাতে পারেন, তেমনি পাল্টা আক্রমণে প্রতিপক্ষ দলের বোলিং লাইনআপ এলোমেলো করতে পারেন। তাইতো মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিংকেই ভালো লাগে মেহেদীর, ‘৭-৮ নম্বরে নিজেকে তৈরি করে নেওয়ার যে প্রক্রিয়া ছিল, তখন থেকে ফিনিশার হিসেবে রিয়াদ ভাইয়ের ব্যাটিংটা খুব ভালো লাগত। শুধু এরকমই আর কী। সাকিব ভাই আইডল বলতে পারেন। রিয়াদ ভাইয়ের ব্যাটিং ভালো লাগে।’

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

মেহেদীর চোখে চ্যালেঞ্জটাই বেশি

আপডেট সময়: ০৭:২২:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

আধুনিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রানই আসল কথা। তাই ব্যাটাররাও চেষ্টা করেন সেভাবেই খেলার। প্রথম পাওয়ার-প্লের ছয় ওভারে ৩০ গজের বাইরে মাত্র দুই জন ফিল্ডার থাকায়, ব্যাটারদের টার্গেটটা থাকে এ সময়েই। বড় কিছু শট খেলে রান বাড়িয়ে নেওয়ার। তাই এ সময় বল করাটা স্বাভাবিকভাবেই চ্যালেঞ্জিংই হয় বোলারদের জন্য। বাংলাদেশের অফ স্পিনার শেখ মেহেদী হাসানও জানালেন সেরকম কথাই। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এ কাজটা নিয়মিতই করতে হয় মেহেদীকে। এখন পর্যন্ত যে ৪৫ ইনিংসে বোলিং করেছেন, ২৭ বারই এক প্রান্ত থেকে উদ্বোধন করেছেন এ ২৯ বছর বয়সি। সফলও হয়েছেন, ক্যারিয়ারে তার ৩৮টি উইকেটের ২০টিই এসেছে পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারের মধ্যে। রান আটকাতেও বেশ সফল তিনি; ক্যারিয়ারে ইকোনমি রেট ৬.৩৮ হলেও প্রথম ৬ ওভারে মেহেদী মাত্র ৫.৬৭ করে রান দিয়েছেন।

বিসিবির প্রকাশিত এক ভিডিওতে পাওয়ারপ্লেতে বোলিং নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মেহেদী বলেছেন চ্যালেঞ্জের কথা, ‘উপভোগ করা থেকে চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি সেখানে। যেহেতু পাওয়াপ্লেতে (বোলিং), (আর) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট (হচ্ছে) রানের খেলা। এখানে যত কম রানে আটকানো যায় আর কি বোলিং করে। ওই চ্যালেঞ্জটাই বেশি থাকে। উপভোগ (করা) থেকে চ্যালেঞ্জটা বেশি থাকে।’ এরপরও পাওয়ারপ্লের বোলিংটা উপভোগ করতে পারলে সেটি দলের জন্যই ভালো, মনে করিয়ে দিয়ে মেহেদী বলেছেন, ‘কঠিন পরিস্থিতি থাকে পাওয়ারপ্লেতে। উপভোগ (করার সুযোগ) তো একদমই থাকে না। (এরপরও) সেখানে যদি উপভোগ করতে পারি, তাহলে দলের লাভটাই বেশি হয়।’

২০১৮ সালে অভিষেক হলেও দ্বিতীয় ম্যাচটি খেলতে প্রায় ২ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল মেহেদীকে। মেহেদী ফিরে এসেছেন আবার। তবে ফেরাটা সহজ ছিল না জানিয়ে মেহেদী বলেছেন, এবারের বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত একটা চ্যালেঞ্জও নিয়েছেন, ‘ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জ আছে (বিশ্বকাপে)। প্রথম রাউন্ড শেষ করে পরের রাউন্ডে আগে যাওয়া।’ বলেছেন আরেকটি ব্যক্তিগত লক্ষ্যের কথাও, ‘আমি সাধারণত যেভাবে পারফরম্যান্স করি, ওভাবে করতে চাই না বিশ্বকাপে। এর চেয়ে আরও ভালো পারফরম্যান্স করতে চাই।’

বাংলাদেশ দলের ফিনিশিংয়ের দায়িত্বটা এখন সামলাতে হচ্ছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকেই। পরীক্ষিত এ পারর্ফমার দলের বিপদে ইনিংস তৈরির দায়িত্ব যেমন সামলাতে পারেন, তেমনি পাল্টা আক্রমণে প্রতিপক্ষ দলের বোলিং লাইনআপ এলোমেলো করতে পারেন। তাইতো মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিংকেই ভালো লাগে মেহেদীর, ‘৭-৮ নম্বরে নিজেকে তৈরি করে নেওয়ার যে প্রক্রিয়া ছিল, তখন থেকে ফিনিশার হিসেবে রিয়াদ ভাইয়ের ব্যাটিংটা খুব ভালো লাগত। শুধু এরকমই আর কী। সাকিব ভাই আইডল বলতে পারেন। রিয়াদ ভাইয়ের ব্যাটিং ভালো লাগে।’