আজ শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
Logo কামালনগর ঈদগাহ বাজার কমিটির দ্বি- বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত Logo ইসলামকাটি ইউনিয়ন পরিষদ হতে মনোহরপুর ঋষিপাড়া পর্যন্ত রাস্তাটি মরণফাঁদে পরিণত,দেখার কেউ নেই Logo নর্থ ওয়েস্টার্নকে হারিয়ে চূড়ান্ত পর্বে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় Logo ডেঙ্গুতে আরো ১০ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৮৮৬ Logo সাতক্ষীরায় জমি না দেওয়ায় মিথ্যা মামলায় হয়রানি: প্রতিবাদের সংবাদ সম্মেলন Logo কপোতাক্ষ নদ থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার Logo সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সভাপতি শাহ আলম, সম্পাদক ইমদাদুল Logo জ্বালানি তেলের মূল্য ১০-১৫ টাকা কমানো সম্ভব: সিপিডি Logo অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা, সাতক্ষীরা সীমান্তে আটক ২ Logo সাতক্ষীরায় সাফ চ্যাম্পিয়ন সাবিনা, মাছুরা ও আফঈদাকে গণসংবর্ধনা
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01971 211241

জার্মান ফুটবলসম্রাট বেকেনবাওয়ার

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ১২:০৮:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

জার্মান ভদ্রলোক প্রথম বিশ্বকাপ খেলেন মিডফিল্ডার হিসেবে। কোয়ার্টার আর সেমিফাইনালে ১টি করে গোলও করেন। পুরো টুর্নামেন্টে ৪ গোল করে ব্রোঞ্জ বল জেতেন। তবে এরপরেও ফাইনালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের কাছে হেরে যায়। ফাইনালে হেরে গেলেও সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কারটা জিতে নেন তিনি। ১৯৭০ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হন ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের। এই বিশ্বকাপে বেকেনবাওয়ার খেলেন ডিফেন্ডার হিসেবে। ৪৯ মিনিটেই ২ গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ৬৮ মিনিটে গোল করে বেকেনবাওয়ারই ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন জার্মানিকে। শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলে জেতেন জার্মানি; কিন্তু সেমিতে আবারও ইতালির কাছে হেরে যায়। পরপর দুই বিশ্বকাপে ব্যর্থতা তাকে পোড়ানোরই কথা। তবে তিনি হাল ছাড়লেন না। ৭৪ বিশ্বকাপে ডিফেন্ডার হিসেবে খেলেন এবং জার্মানি বিশ্বকাপ জেতে। সেই টুর্নামেন্টে সিলভার বল জেতেন বেকেনবাওয়ার। ‘একবার না পারিলে দেখ শতবার’– তাকে শতবারের জন্য অপেক্ষা করতে হয়নি, তিনবারের প্রচেষ্টাতেই সফল হয়েছিলেন।

এই পর্যন্ত বিশ্বকাপের ইতিহাসে মাত্র দুজন খেলোয়াড় তিনবার করে বিশ্বকাপের অলস্টার দলে সুযোগ পেয়েছেন। ১৯৬৬, ১৯৭০ আর ১৯৭৪ বিশ্বকাপের অল স্টার দলে সুযোগ পাওয়ায় তিনি সেই দুজন খেলোয়াড়ের একজন। এত গেল তার খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারের কথা। কোচ হিসেবেও শুরুতে সর্বোচ্চ সফলতার খুব কাছে গিয়েও মিস করেছেন। ১৯৮৬ বিশ্বকাপ ফাইনালে ডিয়েগো ম্যারাডোনার বীরত্বের কাছে হার মেনে তার দল রানার্স আপ হয়েছিল। ৪ বছর পর আবার প্রতিপক্ষ সেই একই ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা। এবার জিতে নিলেন সেই কাঙ্ক্ষিত শিরোপা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে মাত্র দুজন মানুষ ‘খেলোয়াড় এবং কোচ’ দুই হিসেবেই বিশ্বকাপ জিতেছেন। ইনি সেই দু’জন মানুষের একজন। ক্লাব ক্যারিয়ারের কথা বাদ দিই কীভাবে? বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে জার্মান ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বুন্দেসলিগার শিরোপা জিতেছেন চার বার। ইউরোপিয়ান কাপ (বর্তমানে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) জিতেছেন পরপর তিনবার (১৯৭৩-৭৬)। খেলোয়াড় হিসেবে ব্যালন ডি অর জিতেছেন ২ বার ( ১৯৭২,১৯৭৬)। এত কিছু জানার পর আপনার মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন আসার কথা মানুষটা কে?

মানুষটা হচ্ছেন ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার, জার্মানির ইতিহাসের অবিসংবাদিত সেরা ফুটবলার। ১৯৪৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জন্ম নেওয়া বেকেনবাওয়ারকে নেতৃত্বের গুণাবলির জন্য তাকে কাইজার বা সম্রাট নামেও ডাকা হতো। তাকে আধুনিক সুইপারের উদ্ভাবক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যেকোনো একাদশ করতে চাইলে পেলে কিংবা ম্যারাডোনার বিকল্প হয়তো পাবেন, হয়তো কোয়ালিটিতে তাদের সমতুল্য হবে না কিন্তু একেবারে ফেলেও দিতে পারবেন না। কিন্তু একাদশে বেকেনবাওয়ারের বিকল্প খুঁজে পাবেন না সেটা বলে দেওয়া যায়। ২০১৩ সালে ওয়ার্ল্ড সকারের নির্বাচিত সর্বকালের সেরা একাদশে পেলে ম্যারাডোনার চেয়েও বেশি ভোট পেয়ে ছিলেন বেকেনবাওয়ার। এমনি এমনি তো আর তিনি সম্রাট নন!

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

কামালনগর ঈদগাহ বাজার কমিটির দ্বি- বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

জার্মান ফুটবলসম্রাট বেকেনবাওয়ার

আপডেট সময়: ১২:০৮:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

জার্মান ভদ্রলোক প্রথম বিশ্বকাপ খেলেন মিডফিল্ডার হিসেবে। কোয়ার্টার আর সেমিফাইনালে ১টি করে গোলও করেন। পুরো টুর্নামেন্টে ৪ গোল করে ব্রোঞ্জ বল জেতেন। তবে এরপরেও ফাইনালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের কাছে হেরে যায়। ফাইনালে হেরে গেলেও সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কারটা জিতে নেন তিনি। ১৯৭০ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হন ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের। এই বিশ্বকাপে বেকেনবাওয়ার খেলেন ডিফেন্ডার হিসেবে। ৪৯ মিনিটেই ২ গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ৬৮ মিনিটে গোল করে বেকেনবাওয়ারই ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন জার্মানিকে। শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলে জেতেন জার্মানি; কিন্তু সেমিতে আবারও ইতালির কাছে হেরে যায়। পরপর দুই বিশ্বকাপে ব্যর্থতা তাকে পোড়ানোরই কথা। তবে তিনি হাল ছাড়লেন না। ৭৪ বিশ্বকাপে ডিফেন্ডার হিসেবে খেলেন এবং জার্মানি বিশ্বকাপ জেতে। সেই টুর্নামেন্টে সিলভার বল জেতেন বেকেনবাওয়ার। ‘একবার না পারিলে দেখ শতবার’– তাকে শতবারের জন্য অপেক্ষা করতে হয়নি, তিনবারের প্রচেষ্টাতেই সফল হয়েছিলেন।

এই পর্যন্ত বিশ্বকাপের ইতিহাসে মাত্র দুজন খেলোয়াড় তিনবার করে বিশ্বকাপের অলস্টার দলে সুযোগ পেয়েছেন। ১৯৬৬, ১৯৭০ আর ১৯৭৪ বিশ্বকাপের অল স্টার দলে সুযোগ পাওয়ায় তিনি সেই দুজন খেলোয়াড়ের একজন। এত গেল তার খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারের কথা। কোচ হিসেবেও শুরুতে সর্বোচ্চ সফলতার খুব কাছে গিয়েও মিস করেছেন। ১৯৮৬ বিশ্বকাপ ফাইনালে ডিয়েগো ম্যারাডোনার বীরত্বের কাছে হার মেনে তার দল রানার্স আপ হয়েছিল। ৪ বছর পর আবার প্রতিপক্ষ সেই একই ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা। এবার জিতে নিলেন সেই কাঙ্ক্ষিত শিরোপা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে মাত্র দুজন মানুষ ‘খেলোয়াড় এবং কোচ’ দুই হিসেবেই বিশ্বকাপ জিতেছেন। ইনি সেই দু’জন মানুষের একজন। ক্লাব ক্যারিয়ারের কথা বাদ দিই কীভাবে? বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে জার্মান ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বুন্দেসলিগার শিরোপা জিতেছেন চার বার। ইউরোপিয়ান কাপ (বর্তমানে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) জিতেছেন পরপর তিনবার (১৯৭৩-৭৬)। খেলোয়াড় হিসেবে ব্যালন ডি অর জিতেছেন ২ বার ( ১৯৭২,১৯৭৬)। এত কিছু জানার পর আপনার মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন আসার কথা মানুষটা কে?

মানুষটা হচ্ছেন ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার, জার্মানির ইতিহাসের অবিসংবাদিত সেরা ফুটবলার। ১৯৪৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জন্ম নেওয়া বেকেনবাওয়ারকে নেতৃত্বের গুণাবলির জন্য তাকে কাইজার বা সম্রাট নামেও ডাকা হতো। তাকে আধুনিক সুইপারের উদ্ভাবক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যেকোনো একাদশ করতে চাইলে পেলে কিংবা ম্যারাডোনার বিকল্প হয়তো পাবেন, হয়তো কোয়ালিটিতে তাদের সমতুল্য হবে না কিন্তু একেবারে ফেলেও দিতে পারবেন না। কিন্তু একাদশে বেকেনবাওয়ারের বিকল্প খুঁজে পাবেন না সেটা বলে দেওয়া যায়। ২০১৩ সালে ওয়ার্ল্ড সকারের নির্বাচিত সর্বকালের সেরা একাদশে পেলে ম্যারাডোনার চেয়েও বেশি ভোট পেয়ে ছিলেন বেকেনবাওয়ার। এমনি এমনি তো আর তিনি সম্রাট নন!