আজ মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
Logo ক্ষমতার ৮ বছরে ৯৯ ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীকে হত্যা করে হাসিনা সরকার Logo সাতক্ষীরায় ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত Logo সাংবাদিক হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ Logo সাতক্ষীরায় পৌর বিএনপি’র র‌্যালি ও আলোচনা সভা Logo শিবিরের ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত Logo ইজতেমা ময়দানকে রক্তাক্ত করায় সাদপন্থীদের বিচারের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন Logo সাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের উপর হামলা এবং ডিসি কর্তৃক গালাগাল করার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo সাংবাদিক হাফিজুর রহমানের শাশুড়ির মৃত্যুতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের গভীর শোক জ্ঞাপন Logo সাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামালার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo থানা থেকে লুট হওয়া পিস্তল পরিত্যাক্ত অবস্থায় উদ্ধার
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01971 211241

যুব মহিলা লীগ নেত্রী ফাতেমা আনোয়ারকে স্থায়ী বহিষ্কার

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ১২:৩৭:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
  • ১২৩ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রীর জামাতা ও তার পরিবার নিয়ে কটূক্তিমূলক মন্তব্য করায় যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ারকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। যশোর জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি মঞ্জুন্নাহার নাজনীন সোনালী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে, সংগঠনবিরোধী ও শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে যশোর জেলার অন্তর্গত সদর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক ফাতেমা আনোয়ারকে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হলো।’

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর জামাতাও বিএনপি করেন’-ফাতেমা আনোয়ারের এমন বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার, ফাতেমা আনোয়ারের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদার জানান, গত ১৭ মে সাংবাদিক সম্মেলন করেন, যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক ও আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার। সেখানে বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জামাতাও বিএনপি করেন।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘তার স্বামী জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা এবং একই পরিবার থেকে একাধিক দল করতেই পারে।’ ওহিদুল বলেন, ফাতেমা আনোয়ারের এই বক্তব্যের বিষয়টি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তাকে যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ কেন্দ্রের কাছে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর সুপারিশ করেন।

ফাতেমা আনোয়ারের বহিষ্কারের সুপারিশপত্রে তার স্বামী নিয়ে বিভিন্ন তথ্য দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়, ফাতেমা আনোয়ারের স্বামী আনিসুর রহমান লিটন ওরফে ফিঙ্গে লিটন পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেডভুক্ত আসামি। তিনি খুন-গুম, মাদক, সোনা ও অস্ত্র চোরাচালানসহ একাধিক অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বাইরে পলাতক অবস্থায় আছেন। দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। তিনি ইন্টারপোলেরও ওয়ান্টেড আসামি। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ফাতেমা আনোয়ার প্রধানমন্ত্রীর স্বজনকে জড়িয়ে কটূক্তিমূলক বক্তব্য করেছেন। তার ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। তিনি তার বক্তব্যের মাধ্যমে দলীয় মনোভাববিরোধী মত প্রকাশ করেছেন। তাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক পদ, প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ কেন্দ্রের কাছে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’

এই বিষয়ে বহিস্কৃত ফাতেমা আনোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, একজন রাষ্ট্রনায়ককে নিয়ে কেউ কথা বা মন্তব্য করবে এটা নাগরিকের অধিকার। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উদাহরণ হিসেবে কথাটা বলেছি। আমার বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা আমার প্রতি অবিচার হয়েছে বলে মনে করছি। জানা যায়, যশোর জেলা আওয়ামী লীগ দুটি গ্রুপে বিভক্ত। একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এবং অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন যশোর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে জেলা আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্ব আবারও প্রকাশ্যে এসেছে। ফাতেমা আনোয়ার কাজী নাবিল আহমেদের অনুসারী হলেও উপজেলা নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্যের সমর্থন পাননি। কাজী নাবিল আহমেদ সমর্থন দিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনকে বিপুলকে। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার সমর্থন দিয়েছেন তার চাচতো ভাই যুবলীগ নেতা তৌহিদ চাকলাদারকে। তৌহিদের নির্বাচনী প্রচারণায় যুক্ত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন।

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

ক্ষমতার ৮ বছরে ৯৯ ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীকে হত্যা করে হাসিনা সরকার

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

যুব মহিলা লীগ নেত্রী ফাতেমা আনোয়ারকে স্থায়ী বহিষ্কার

আপডেট সময়: ১২:৩৭:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর জামাতা ও তার পরিবার নিয়ে কটূক্তিমূলক মন্তব্য করায় যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ারকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। যশোর জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি মঞ্জুন্নাহার নাজনীন সোনালী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে, সংগঠনবিরোধী ও শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে যশোর জেলার অন্তর্গত সদর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক ফাতেমা আনোয়ারকে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হলো।’

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর জামাতাও বিএনপি করেন’-ফাতেমা আনোয়ারের এমন বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার, ফাতেমা আনোয়ারের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদার জানান, গত ১৭ মে সাংবাদিক সম্মেলন করেন, যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক ও আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার। সেখানে বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জামাতাও বিএনপি করেন।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘তার স্বামী জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা এবং একই পরিবার থেকে একাধিক দল করতেই পারে।’ ওহিদুল বলেন, ফাতেমা আনোয়ারের এই বক্তব্যের বিষয়টি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তাকে যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ কেন্দ্রের কাছে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর সুপারিশ করেন।

ফাতেমা আনোয়ারের বহিষ্কারের সুপারিশপত্রে তার স্বামী নিয়ে বিভিন্ন তথ্য দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়, ফাতেমা আনোয়ারের স্বামী আনিসুর রহমান লিটন ওরফে ফিঙ্গে লিটন পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেডভুক্ত আসামি। তিনি খুন-গুম, মাদক, সোনা ও অস্ত্র চোরাচালানসহ একাধিক অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বাইরে পলাতক অবস্থায় আছেন। দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। তিনি ইন্টারপোলেরও ওয়ান্টেড আসামি। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ফাতেমা আনোয়ার প্রধানমন্ত্রীর স্বজনকে জড়িয়ে কটূক্তিমূলক বক্তব্য করেছেন। তার ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। তিনি তার বক্তব্যের মাধ্যমে দলীয় মনোভাববিরোধী মত প্রকাশ করেছেন। তাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক পদ, প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ কেন্দ্রের কাছে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’

এই বিষয়ে বহিস্কৃত ফাতেমা আনোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, একজন রাষ্ট্রনায়ককে নিয়ে কেউ কথা বা মন্তব্য করবে এটা নাগরিকের অধিকার। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উদাহরণ হিসেবে কথাটা বলেছি। আমার বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা আমার প্রতি অবিচার হয়েছে বলে মনে করছি। জানা যায়, যশোর জেলা আওয়ামী লীগ দুটি গ্রুপে বিভক্ত। একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এবং অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন যশোর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে জেলা আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্ব আবারও প্রকাশ্যে এসেছে। ফাতেমা আনোয়ার কাজী নাবিল আহমেদের অনুসারী হলেও উপজেলা নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্যের সমর্থন পাননি। কাজী নাবিল আহমেদ সমর্থন দিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনকে বিপুলকে। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার সমর্থন দিয়েছেন তার চাচতো ভাই যুবলীগ নেতা তৌহিদ চাকলাদারকে। তৌহিদের নির্বাচনী প্রচারণায় যুক্ত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন।