র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ওয়াশিংটনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এ কথা জানান। প্যাটেলের কাছে প্রশ্ন করা হয়- বাংলাদেশ সফরকালে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব স্টেট ডোনাল্ড লু’র সঙ্গে একটি বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়, স্টেট ডিপার্টমেন্ট নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে। এ বিষয়টি নিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জানানো হয়, তথ্যটি সঠিক নয়।
বেদান্ত প্যাটেল বলেন, এসব দাবি মিথ্যা। যুক্তরাষ্ট্র র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না। এই দাবিগুলো মিথ্যা। নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য হলো আচরণের পরিবর্তন এবং জবাবদিহিতার প্রচার। সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়ার সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ঢাকা সফরে এলে তার সঙ্গে নৈশভোজের বৈঠকের পর সালমান এফ রহমান মিডিয়াকে ব্রিফ করেন। সেখানে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘জাস্টিস ডিপার্টমেন্টকে হোয়াইট হাউস থেকে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বলা হয়েছে। আমরা র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও বঙ্গবন্ধুর খুনি রশিদ চৌধুরীকে ফেরানোর কথা বলেছি। লু আমাদের জানিয়েছেন, এ বিষয় দুটি তাদের জাস্টিস ডিপার্টমেন্টে আছে। তাদের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট স্বাধীন। তারা বলেছে এটি পুশ করছে, সাপোর্ট দিচ্ছে। লু বলেছেন- হোয়াইট হাউস থেকেও জাস্টিস ডিপার্টমেন্টকে বলা হয়েছে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে।’
২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করে র্যাবের পাশাপাশি সংস্থার সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।