ইসরায়েলিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে কানাডা। ফিলিস্তিনি বেসামরিক বাসিন্দাদের রক্ষায় প্রথমবারের মতো দেশটি এ ধরনের পদক্ষেপ নিল। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কানাডার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা ফিলিস্তিনিদের (পশ্চিম তীরে) বিরুদ্ধে ‘হিংসাত্মক ও অস্থিতিশীল’ পদক্ষেপের জন্য প্রথমবারের মতো ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বসতি স্থাপনকারীদের সঙ্গে লেনদেন এবং কানাডায় তাদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে। আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, দখলকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ বেশ পুরোনো। গত বছর গাজা যুদ্ধ শুরুর পর ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলার ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। উগ্র ইহুদিরা আদিবাসীদের বসতঘরে হামলা করছে। প্রকাশ্যে দোকানে ভাঙচুর করে লুটপাট করছে।
এ সংক্রান্ত একটি ছবিও প্রকাশ করে আলজাজিরা। তাতে দেখা যায়, দিনেদুপুরে কয়েকজন ইহুদি বসতি স্থাপনকারী হাতে কুড়াল ও লোহার পাইপ নিয়ে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার জন্য এগিয়ে যাচ্ছেন। নিষেধাজ্ঞার জন্য প্রাথমিকভাবে মনোনীত ইসরায়েলিরা হলেন- ডেভিড চাই চাসদাই, ইয়িনন লেভি, জাভি বার ইয়োসেফ ও মোশে শারভিত। তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা ও লুটের সঙ্গে জড়িত বলে প্রমাণ পেয়েছে কানাডা। কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি বিবৃতিতে বলেছেন, চরমপন্থি বসতি স্থাপনকারীদের সহিংস কাজগুলো অগ্রহণযোগ্য। এই ধরনের সহিংসতা কানাডা সমর্থন করে না। অপরাধীদের শাস্তি পেতে হবে। নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে আমরা এ বার্তাটি স্পষ্ট করেছি।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তারা বলেছে, এ অঞ্চলে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানে বিশ্বাসী তারা। তাই জোর করে অন্যের ভূমি দখল ও আদিবাসীদের ওপর অত্যাচার মেনে নেওয়া যায় না। দেশগুলো ইসরায়েলকে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ না করতে সতর্ক করেছে।