আজ সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
Logo সাতক্ষীরায় দুই দিনব্যাপী জাতীয় বিজ্ঞানমেলা ও কুইজ প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত Logo দেবহাটা থেকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিশি গ্রেফতার Logo সাতক্ষীরা সীমান্তে চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি বিএসএফের Logo সাতক্ষীরার আলিপুরে জনপ্রতিনিধি ও স্টেক হোল্ডারদের সাথে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত Logo অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় কলারোয়ার চান্দুরিয়া সীমান্ত থেকে দুই বাংলাদেশী নাগরিক আটক Logo কালের চিত্র পত্রিকার সম্পাদক এর মায়ের মৃত্যুতে সাংবাদিক কল‍্যাণ সংস্থার শোক প্রকাশ Logo লিগ‍্যাল এইড রেফারেল বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক বাংলাদেশির জমি চাষে বিএসএফের বাঁধা Logo সাতক্ষীরা জেলা আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত Logo পাঁচ দিনে কেমন থাকবে তাপমাত্রা, জানাল আবহাওয়া অফিস
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01971 211241

আগ্নেয়গিরি থেকে বের হচ্ছে সোনা, নিতে পারছে না কেউ

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ১২:২৪:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

প্রতিদিন নিয়ম করে হচ্ছে সোনার বৃষ্টি। শুনতে অবাক মনে হলেও পৃথিবীর এক প্রান্তে ঘটে চলেছে এমন চমক জাগানিয়া ঘটনা। বরফে মোড়া একটি আগ্নেয়গিরি থেকে এভাবেই চারদিকে ছিটকে পড়ে সোনা। প্রতিদিন ৮০ গ্রাম সোনা উগড়ে দেয় ওই আগ্নেয়গিরি, যার দাম ৭ লাখ টাকা। সোনা উগড়ে দেওয়া ওই আগ্নেয়গিরির নাম মাউন্ট এরিবাস। সম্প্রতি নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। পৃথিবীর একেবারে দক্ষিণ প্রান্ত অ্যান্টার্কটিকায় মাউন্ট এরিবাসের অবস্থান। এর চেয়ে দক্ষিণে আর কোনো সক্রিয় আগ্নেয়গিরি নেই। জানা গেছে, এই এরিবাস আগ্নেয়গিরি থেকেই গ্যাস, পাথর, বাষ্পের সঙ্গে ছিটকে পড়ছে কেলাসিত সোনা। এরিবাসের প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে সেই লাভা। তা পরীক্ষা করেই এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা।

আগ্নেয়গিরি থেকে সোনা ছিটকে পড়লেও কাছে যেতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা। দূর থেকেই পর্যবেক্ষণ করতে হচ্ছে তাদের। এর কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এরিবাস আগ্নেয়গিরি যেখানে রয়েছে, সেখানে তাপমাত্রা যে কোনো সময়ে মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যেতে পারে। তাই সেখানে যাওয়া একেবারেই নিরাপদ নয়। মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। রস সাগরের মধ্যে রস দ্বীপে এই মাউন্ট এরিবাসের অবস্থান। ১৮৪১ সালে ক্যাপ্টেন স্যার জেমস ক্লার্ক রস এ দ্বীপ আবিষ্কার করেন। তার নামেই এটি রস দ্বীপ নামেও পরিচিত। অ্যান্টার্কটিকায় প্রায় ১৩৮টি আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৯টি সক্রিয়। তার মধ্যে উচ্চতম হলো মাউন্ট এরিবাস। এর উচ্চতা প্রায় ৩ হাজার ৭৯৪ মিটার বা ১২ হাজার ৪৪৮ ফুট।

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার পৃথিবী পর্যবেক্ষণকারী উপগ্রহ জানিয়েছে, পাতলা ভূত্বকের ওপর রয়েছে মাউন্ট এরিবাস আগ্নেয়গিরি। ফলে গলিত পাথর, ভস্ম আরও সহজে বেরিয়ে আসছে। সেই সঙ্গেই বেরিয়ে আসছে সোনাও। মাউন্ট এরিবাসের গহ্বরে রয়েছে একাধিক লাভার হ্রদ। তার মধ্যে একটি সক্রিয় রয়েছে ১৯৭২ সাল থেকে। তার ফলে মাঝেমধ্যে এরিবাস থেকে বেরিয়ে আসছে লাভা। এই মাউন্ট এরিবাসের ওপর একটি বিমান ভেঙে পড়েছিল। ঘটনাটি ছিল ১৯৭৯ সালের ২৮ নভেম্বর। এতে প্রাণ হারিয়েছিলেন বিমানের ২৫৭ আরোহীর সবাই। এয়ার নিউজিল্যান্ডের একটি বিমান অ্যান্টার্কটিকার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে অকল্যান্ডে ফেরত আসার কথা ছিল। কিন্তু মেঘলা আবহাওয়ার মধ্যে বিমান দুর্ঘটনায় পড়ে। কাউকেই জীবিত উদ্ধার করা যায়নি। তবে কয়েকজন যাত্রীর ক্যামেরা উদ্ধার করা সম্ভব হয়। সেখানেই ছিল আগ্নেয়গিরির অসংখ্য ছবি।

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

সাতক্ষীরায় দুই দিনব্যাপী জাতীয় বিজ্ঞানমেলা ও কুইজ প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

আগ্নেয়গিরি থেকে বের হচ্ছে সোনা, নিতে পারছে না কেউ

আপডেট সময়: ১২:২৪:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

প্রতিদিন নিয়ম করে হচ্ছে সোনার বৃষ্টি। শুনতে অবাক মনে হলেও পৃথিবীর এক প্রান্তে ঘটে চলেছে এমন চমক জাগানিয়া ঘটনা। বরফে মোড়া একটি আগ্নেয়গিরি থেকে এভাবেই চারদিকে ছিটকে পড়ে সোনা। প্রতিদিন ৮০ গ্রাম সোনা উগড়ে দেয় ওই আগ্নেয়গিরি, যার দাম ৭ লাখ টাকা। সোনা উগড়ে দেওয়া ওই আগ্নেয়গিরির নাম মাউন্ট এরিবাস। সম্প্রতি নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। পৃথিবীর একেবারে দক্ষিণ প্রান্ত অ্যান্টার্কটিকায় মাউন্ট এরিবাসের অবস্থান। এর চেয়ে দক্ষিণে আর কোনো সক্রিয় আগ্নেয়গিরি নেই। জানা গেছে, এই এরিবাস আগ্নেয়গিরি থেকেই গ্যাস, পাথর, বাষ্পের সঙ্গে ছিটকে পড়ছে কেলাসিত সোনা। এরিবাসের প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে সেই লাভা। তা পরীক্ষা করেই এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা।

আগ্নেয়গিরি থেকে সোনা ছিটকে পড়লেও কাছে যেতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা। দূর থেকেই পর্যবেক্ষণ করতে হচ্ছে তাদের। এর কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এরিবাস আগ্নেয়গিরি যেখানে রয়েছে, সেখানে তাপমাত্রা যে কোনো সময়ে মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যেতে পারে। তাই সেখানে যাওয়া একেবারেই নিরাপদ নয়। মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। রস সাগরের মধ্যে রস দ্বীপে এই মাউন্ট এরিবাসের অবস্থান। ১৮৪১ সালে ক্যাপ্টেন স্যার জেমস ক্লার্ক রস এ দ্বীপ আবিষ্কার করেন। তার নামেই এটি রস দ্বীপ নামেও পরিচিত। অ্যান্টার্কটিকায় প্রায় ১৩৮টি আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৯টি সক্রিয়। তার মধ্যে উচ্চতম হলো মাউন্ট এরিবাস। এর উচ্চতা প্রায় ৩ হাজার ৭৯৪ মিটার বা ১২ হাজার ৪৪৮ ফুট।

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার পৃথিবী পর্যবেক্ষণকারী উপগ্রহ জানিয়েছে, পাতলা ভূত্বকের ওপর রয়েছে মাউন্ট এরিবাস আগ্নেয়গিরি। ফলে গলিত পাথর, ভস্ম আরও সহজে বেরিয়ে আসছে। সেই সঙ্গেই বেরিয়ে আসছে সোনাও। মাউন্ট এরিবাসের গহ্বরে রয়েছে একাধিক লাভার হ্রদ। তার মধ্যে একটি সক্রিয় রয়েছে ১৯৭২ সাল থেকে। তার ফলে মাঝেমধ্যে এরিবাস থেকে বেরিয়ে আসছে লাভা। এই মাউন্ট এরিবাসের ওপর একটি বিমান ভেঙে পড়েছিল। ঘটনাটি ছিল ১৯৭৯ সালের ২৮ নভেম্বর। এতে প্রাণ হারিয়েছিলেন বিমানের ২৫৭ আরোহীর সবাই। এয়ার নিউজিল্যান্ডের একটি বিমান অ্যান্টার্কটিকার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে অকল্যান্ডে ফেরত আসার কথা ছিল। কিন্তু মেঘলা আবহাওয়ার মধ্যে বিমান দুর্ঘটনায় পড়ে। কাউকেই জীবিত উদ্ধার করা যায়নি। তবে কয়েকজন যাত্রীর ক্যামেরা উদ্ধার করা সম্ভব হয়। সেখানেই ছিল আগ্নেয়গিরির অসংখ্য ছবি।