আজ শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01971 211241

বাংলাদেশের জলসীমায় এমভি আবদুল্লাহ

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ১২:১৫:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

ভারত মহাসগরে সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ বর্তমানে দেশের জলসীমায় রয়েছে। সোমবার (১৩ মে) জাহাজটি কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার বহির্নোঙরে প্রবেশ করবে। শনিবার (১১ মে) দুপুর দেড়টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন কবির গ্রুপের (কেএসআরএম) মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। তিনি বলেন, বর্তমানে জাহাজটিতে প্রায় ৫৬ টন পাথর রয়েছে। আরও দুদিন আগেই জাহাজটি বঙ্গোপসাগরে পৌঁছায়। আগামী সোমবার এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়ার বহির্নোঙরে প্রবেশ করবে। সেখানে কিছু পণ্য (পাথর) খালাস করা হবে। সেই কার্যক্রম শেষ করতে দুদিন সময় লাগতে পারে। এরপর জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরের উদ্দেশে রওনা দেবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে জাহাজটি ২৩ জন নাবিক রয়েছে। তারা চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর পর খালাস কার্যক্রমসহ সব কর্মকাণ্ড শেষ করবে। এরপর সংবর্ধনা, সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভাসহ কিছু আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।মেরিটাইম ট্রাফিকের ওয়েবসাইটে এমভি আবদুল্লাহ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছার সম্ভাব্য সময় দেখানো হচ্ছে ১৪ মে। এর আগে গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। অস্ত্রের মুখে জাহাজসহ ২৩ নাবিককে জিম্মি করে দস্যুরা। নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে ৩৩ দিন পর গত ১৩ এপ্রিল রাত ৩টার দিকে জলদস্যুরা জাহাজ ছেড়ে চলে যায়। এরপর গন্তব্য দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয় জাহাজটি। ১৪ এপ্রিল দুপুরে এমভি আবদুল্লাহর চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খানের দেওয়া ফেসবুক পোস্টের একটি ছবিতে মুক্ত নাবিকদের পাশে অপারেশন আটলান্টার কমান্ডোদের দেখা যায়। ১৫ এপ্রিল বিকেলে ইইউএনএভিএফওআর অপারেশন আটলান্টা মিশন তাদের টুইট বার্তায় এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ছবি প্রকাশ করে।

এমভি আবদুল্লাহ শুরুতে যায় সংযুক্ত আর আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে। সেখানে জাহাজে থাকা কয়লা খালাস করা হয়। এরপর ওই বন্দরেই পণ্য লোডের পর মিনা সাকার বন্দরে যায় আবদুল্লাহ। সেখান থেকে আরব আমিরাতের ফুজাইরা বন্দরে থেমেছিল জ্বালানি নিতে।

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

বাংলাদেশের জলসীমায় এমভি আবদুল্লাহ

আপডেট সময়: ১২:১৫:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

ভারত মহাসগরে সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ বর্তমানে দেশের জলসীমায় রয়েছে। সোমবার (১৩ মে) জাহাজটি কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার বহির্নোঙরে প্রবেশ করবে। শনিবার (১১ মে) দুপুর দেড়টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন কবির গ্রুপের (কেএসআরএম) মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। তিনি বলেন, বর্তমানে জাহাজটিতে প্রায় ৫৬ টন পাথর রয়েছে। আরও দুদিন আগেই জাহাজটি বঙ্গোপসাগরে পৌঁছায়। আগামী সোমবার এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়ার বহির্নোঙরে প্রবেশ করবে। সেখানে কিছু পণ্য (পাথর) খালাস করা হবে। সেই কার্যক্রম শেষ করতে দুদিন সময় লাগতে পারে। এরপর জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরের উদ্দেশে রওনা দেবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে জাহাজটি ২৩ জন নাবিক রয়েছে। তারা চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর পর খালাস কার্যক্রমসহ সব কর্মকাণ্ড শেষ করবে। এরপর সংবর্ধনা, সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভাসহ কিছু আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।মেরিটাইম ট্রাফিকের ওয়েবসাইটে এমভি আবদুল্লাহ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছার সম্ভাব্য সময় দেখানো হচ্ছে ১৪ মে। এর আগে গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। অস্ত্রের মুখে জাহাজসহ ২৩ নাবিককে জিম্মি করে দস্যুরা। নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে ৩৩ দিন পর গত ১৩ এপ্রিল রাত ৩টার দিকে জলদস্যুরা জাহাজ ছেড়ে চলে যায়। এরপর গন্তব্য দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয় জাহাজটি। ১৪ এপ্রিল দুপুরে এমভি আবদুল্লাহর চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খানের দেওয়া ফেসবুক পোস্টের একটি ছবিতে মুক্ত নাবিকদের পাশে অপারেশন আটলান্টার কমান্ডোদের দেখা যায়। ১৫ এপ্রিল বিকেলে ইইউএনএভিএফওআর অপারেশন আটলান্টা মিশন তাদের টুইট বার্তায় এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ছবি প্রকাশ করে।

এমভি আবদুল্লাহ শুরুতে যায় সংযুক্ত আর আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে। সেখানে জাহাজে থাকা কয়লা খালাস করা হয়। এরপর ওই বন্দরেই পণ্য লোডের পর মিনা সাকার বন্দরে যায় আবদুল্লাহ। সেখান থেকে আরব আমিরাতের ফুজাইরা বন্দরে থেমেছিল জ্বালানি নিতে।