ঘরের মাঠ সিগন্যাল ইদুনা পার্কে নিজেদের কাজটা আগেই সেরে রেখেছিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। মঙ্গলবার রাতে পার্ক দ্য প্রিন্সেসে বাকি কাজটা সারে জার্মান ক্লাবটি। পিএসজির বিপক্ষে শুধু ড্র করলেই চলত। তবে জার্মান ডিফেন্ডার ম্যাটস হামেলসের গোলে প্রতিপক্ষের মাঠে জয় পায় ডর্টমুন্ড। এতে দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ ব্যবধানের জয়ে, ফরাসিদের কাঁদিয়ে ১১ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠেছে জার্মান ক্লাবটি। প্রতিপক্ষের মাঠে প্রিয় দলের এমন জয়েও মন ভরেনি ক্লাবটির সমর্থকদের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চার বছর আগে নেইমার-এমবাপ্পেদের করা অশোভনীয় আচরণের প্রতিশোধ নিচ্ছে তারা।
২০২০ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোতে জার্মান জায়ান্টদের মুখোমুখি হয়েছিল ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। সেবার ডর্টমুন্ডতেই ছিলেন আর্রিং হলান্ড। নরওয়ের এই তারকার জোড়া গোলে ঘরের মাঠে পিএসজিকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল ডর্টমুন্ড। সে সময় গোল করার পর ‘পদ্মাসনে’ বসে অনেকটা ধ্যানের ভঙ্গিতে গোল উদ্যাপন করতেন বর্তমানে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটিতে খেলা এই স্ট্রাইকার। সেদিনও সিগন্যাল ইদুনা পার্কেও একই ভঙ্গিতে গোল করেছিলেন হলান্ড। ম্যাচ শেষে সে ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘জেনসেশনাল উইন।’ যা ভালো লাগেনি নেইমার-এমবাপ্পেদের। নিজেদের মাঠে ২-০ গোলের জয়ে ডর্টমুন্ডকে পেছনে ফেলে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে পিএসজি।
পরে হলান্ডের সে উদযাপনের ভঙ্গি নকল করে দলগত ছবি তুলেছিলেন পিএসজির ফুটবলাররা। পিএসজির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্টে সে ছবি পোস্ট করে ক্যাপশন লেখা হয়েছিল, ‘এবার নিশ্বাস নাও।’ তখন নেইমারদের এমন উদযাপন জন্ম দেয় অনেক সমালোচনার। এতদিন ক্ষোভ পুষে রেখেছিলেন ডর্টমুন্ডের সমর্থকরা। ফরাসি জায়ান্টদের হারানোর পর পুরোনো সেই পোস্ট খুঁজে বের করে রিটুইট করছেন অনেকে। একই সঙ্গে ডর্টমুন্ডের এক সমর্থক লিখেছেন, ‘সেরা মানের ওয়াইনের মতোই এর স্বাদ।’ প্রতিশোধের অপেক্ষাটা দীর্ঘ হওয়াতেই স্বাদটা অনেক বেশি ভালো লাগছে– এমন কমেন্ট করেন ডর্টমুন্ডের অনেক সমর্থক।