আফগানিস্তানের এক সময়ের তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক ছিলেন আসগর আফগান। তার ছিল মূলত মোহাম্মদ আসগর স্টানিকজাই। নিজের দেশকে পুরো বিশ্বে পরিচিত করতে নামের শেষে যোগ করেন ‘আফগান’। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান বহু জয়ের সাক্ষী হয়ে আছে তার নেতৃত্বে। তবে আসগর আফগানের ক্রিকেট খেলাটা এতটা সহজ ছিল না। ১৯৭৭ সালে আফগানিস্তানের কাবুল শহরে জন্মগ্রহণ করেন আজগর আফগান। শৈশবেই শিকার আমেরিকানদের অত্যাচারের। বিভিন্ন অজুহাতে সে সময় আফগানিস্তান দখল করে নেয় পশ্চিমা শক্তিরা। তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে থাকে আফগানিস্তানের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র বাহিনী তালেবান।
সে সময় যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তান ছেড়ে পাকিস্তানের পেশোয়ারে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেয় আসগর আফগানের পরিবার। সেখানেই মোহাম্মদ নাবী, দৌলত জাদরান, শাপুর জাদরানদের সঙ্গে ক্রিকেটের হাতেখড়ি নেন আফগানদের সাবেক এ অধিনায়ক। এরপর ২০০৪ সালে এসিসি অনূর্ধ্ব- ১৭ টুর্নামেন্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন তিনি। ২০০৯ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানেড অভিষেক হয় তার। পরের বছর টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। ২০১৬ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় আসগর আফগানের। আফগানিস্তানের বহু প্রথমের নায়ক এবং সাক্ষী তিনি। আজকের এ আফগানিস্তান দলের পেছনে বড় ভুমিকা ছিল তার। ব্যাট হাতে যেমন দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তেমনি অধিনায়ক হিসেবেও আগলে রেখেছেন দলকে।
২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হঠাৎ করেই তিনি অবসরের ঘোষণা দেন। বিশ্বকাপের মাঝপথেই তিনি তার অবসরের ঘোষণা দেন। নামিবিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটিই ছিল তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। তবে তার এমন অপ্রত্যাশিত অবসর বেশ খানিকটা ব্যথিতই করেছিল আফগান ক্রিকেট সমর্থকদের। আফগান ক্রিকেটে তার অবদান ভুলবে না আফগানিস্তানবাসী।
পুরো নাম : মোহাম্মদ আসগর আফগান (মোহাম্মদ আসগর স্টানিকজাই), জন্ম : ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৭ সাল, জন্মস্থান : কাবুল, আফগানিস্তান, রাশি: মীন, প্রিয় খেলা: ক্রিকেট, প্রিয় খাবার: আফগানি পোলাও, প্রিয় পানীয়: চা, প্রিয় রং: সাদা, কালো, প্রিয় ক্রিকেটার: মাইকেল ক্লার্ক, প্রিয় ক্রিকেট দল: আফগানিস্তান, প্রিয় সতীর্থ: মোহাম্মদ নাবী, প্রিয় গাড়ি: অডি, প্রিয় শখ: ভ্রমণ, প্রিয় জুতার ব্র্যান্ড: সিএ স্পোর্টস