বরিশাল সাইবার ট্রাইবুনালে ২ সাংবাদিকসহ মোট ১২ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। বরগুনা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের আপত্তিকর ভিডিও নিয়ে সংবাদ প্রকাশ ও তা শেয়ার করায় এ মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) নারী কেলেঙ্কারিতে ভাইরাল হওয়া তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য (সাবেক) সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদিন মিঠু এ মামলা করেন। ২ সাংবাদিক হলেন- দৈনিক কালবেলার তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি নাঈম ইসলাম ও দৈনিক মানবকণ্ঠের তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি শাহাদাৎ হোসেন। এ ছাড়া স্থানীয় আরও ১০ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ঘটনার সংবাদ প্রকাশ ও তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের মাধ্যমে সুনাম নষ্ট হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অভিযোগটি তদন্ত করে তালতলী থানার ওসিকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার ৩ নং আসামি সাংবাদিক নাঈম ইসলাম বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ওই মামলার সাক্ষীরা এক নারীকে ধর্ষণ করেন। পরে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য বিভিন্ন প্রলোভন দেখানো হয়। কিন্তু আমরা তাদের কথা না শুনে সংবাদ প্রকাশ করায় ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে আমাদের নামে মামলা করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তালতলী থানার ওসি শহিদুল ইসলাম খান বলেন, মামলার বিষয়ে আমি এখনো আমি কিছু জানি না। মামলার কপি হাতে পেলে তখন আমি এ বিষয়ে কথা বলতে পারব। এ ঘটনায় সাংবাদিকমহলসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দার ঝড় ওঠেছে। তাছাড়া বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।