নিজ দেশের পর আর্জেন্টিনা সুপারস্টার লিওনেল মেসির সবচেয়ে বেশি ভক্ত সম্ভবত বাংলাদেশে। ২০২২ সালে কাতারে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা দলের জন্য বাংলাদেশ ভক্তদের উন্মাদনা শিরোনাম হয়েছিল আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও। যা নজরে এসেছিল আর্জেন্টিনা ফুটবল দলেরও। তাইতো সেই দলের হিয়ে বিশ্বকাপ জয় করা গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ বাংলাদেশ এসে ঘুরে গেছেন। সামনে আসছেন আঞ্জেল ডি মারিয়াও। তবে এর চেয়েও বড় খবর বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা লিওনেল মেসি নাকি আসতে পারেন বাংলাদেশে।
অবশ্য বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে গত বছরের ১২-২০ জুন ফিফা উইন্ডোতে বাংলাদেশে আনার চেষ্টা করছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। তবে এই সময়ে ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত মেসিদের ঢাকায় আসা হয়নি। সেটি প্রথম নয়, এর পরেও অনেকবার আকাশি-নীল শিবিরের ঢাকায় আসার গুঞ্জন উঠেছিল। তবে সেগুলো বাস্তবে রুপ নেয়নি। তবে এবার বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসির বাংলাদেশে আগমনের খুব বেশি সম্ভাবনা দেখছেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে নিজ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এমনটাই জানান তিনি। এ সময়ে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ভারতের ক্রীড়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তও ছিলেন। তিনিই (শতদ্রু) মূলত মেসিকে ঢাকায় আনার বিষয়টি পাপনের সামনে উত্থাপন করেছেন।
আট বারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর প্রসঙ্গে ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, ‘তারা বলেছে মেসিকেও আনতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘তারা বলেছে; যেহেতু অন্যরা আসছে, মেসিও আসতে পারে। তবে অনেক বিষয় থাকে এখানে।’ এদিকে ঢাকায় মার্টিনেজ-রোনালদিনহোর আগমনে অনেক বিচ্যুতি ছিল। তবে ডি মারিয়ার সফরে এমনটা হবে না বলে দাবি পাপনের। মন্ত্রীর ভাষ্যমতে, ‘আগের বিষয় নিয়ে আর মন্তব্য নেই। তবে এখন যেহেতু তারা মন্ত্রণালয়ে এসেছে, তাই আমরা তাদের প্রস্তাবনা দিতে বলেছি। দেখি তারা কি দেয়; এরপর আমরাও কিছু কন্ডিশন দিতে পারি, যেহেতু আমাদের সহযোগিতা চেয়েছে।’
পাপন বলেন, ‘এখানে বাণিজ্যের একটি বিষয় রয়েছে। আর্থিক বিষয় ছাড়া এ রকম সফর সম্ভব নয়। আগের দুইবার যে ভুল-ত্রুটি ছিল, এবার সেটা হবে না।’ উল্লেখ্য, ২০১১ সালে মেসিসহ পুরো আর্জেন্টিনা দল বাংলাদেশে এসেছিল। সেবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল তারা।