সাতক্ষীরায় পুলিশের ইন্সপেক্টর (ওসি) মো. শিহাব হোসেনের নেতৃতে মৎস্য ঘেরের অফিসে ঢুকে বেধড়ক মারধর করে অফিস ব্যাগের মধ্যে থাকা সাড়ে ৯ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের এ কর্মকর্তা ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গিয়েছিলেন। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আখড়োখালা বাজার ব্রিজ সংলগ্ন বিসমিল্লাহ মৎস্য ঘেরের অফিসে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ওসি মো. শিহাব হোসেন পল্টু ও তার ভাই সাইফুর রহমান হিল্টুর বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মো. মহিদুল ইসলাম মিলনের বড় ভাই মো. আব্দুল হক। অভিযুক্ত পুলিশ ইন্সপেক্টর মো. শিহাব হোসেন সম্প্রতি একটি ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ১নং ফাঁড়িতে কর্মরত অবস্থায় ক্লোজড হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত রয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে আব্দুল হক বলেন, আমার আপন ছোট ভাই মো. মহিদুল ইসলাম মিলন শিরনগর টুংকিরবিলে বিসমিল্লাহ মৎস্য ঘের প্রজেক্টে ২৪০ বিঘা মৎস্য ঘেরের শেয়ার হিসাবে মৎস্য চাষাবাদ করে আসছে। অভিযুক্ত পুলিশ ইন্সপেক্টর মো. শিহাব হোসেনও ওই মৎস্য ঘেরের শেয়ারে আছে। ঘের পরিচালনার বিভিন্ন খরচের জন্য অফিস ফান্ডে ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা অফিস কক্ষে রাখা ছিল। অভিযুক্তরাও খুঁটিনাটি বিষয় ও মৎস্য ঘেরের হারির টাকা নিয়ে আমার ভাইসহ অন্যান্য মৎস্য ঘেরের শেয়ারকৃত মালিকদের সঙ্গে অহেতুক ঝগড়া বিরোধ করে আসছিল। অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন, পুলিশ ইন্সপেক্টর মো. শিহাব হোসেন প্রায় সময় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমার ছোট ভাইকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছিল। সোমবার রাত ৮টার দিকে মৎস্য ঘেরের হারির টাকাকে কেন্দ্র করে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আখড়োখালা বাজার ব্রিজ সংলগ্ন বিসমিল্লাহ মৎস্য ঘেরের অফিসে হামলা চালানো হয়। ইন্সপেক্টর শিহাবের নেতৃত্বে বাঁশের লাঠিসোটা নিয়ে অফিসে ঢুকে আমার ভাইকে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর জখম করে। ওই সময় আমার ছোট ভাই ঘটনাস্থলে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে অভিযুক্তরা অফিস ব্যাগে থাকা মৎস্য ঘেরের চারা, মাছ ক্রয় বাবদ সর্বমোট ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। আহত মহিদুল ইসলাম মিলন বর্তমানে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এসব বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত পুলিশ ইন্সপেক্টর মো. শিহাব হোসেন মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি (তদন্ত) নজরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়ে পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিকভাবে সেখানে চড়-থাপ্পড়ের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ইন্সপেক্টর মো. শিহাব হোসেন ঈদের ছুটি নিয়ে বাড়িতে গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে মারধরের ঘটনা ঘটিয়েছে এমন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।