টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সিঙ্গাপুর প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছেন রোমান খান নামের ছাত্রলীগের এক নেতা। আজ রবিবার থানায় এমন অভিযোগ করেন ওই নারীর শ্বশুর দেলোয়ার শিকদার। অভিযুক্ত রোমান খান মির্জাপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ও বহুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। ওই নারী একই ইউনিয়নের বুধীরপাড়া গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসীর স্ত্রী। তাদের সংসারে ১৯ মাসের এক ছেলে রয়েছে। মাকে ছাড়া শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, ৮-৯ বছর আগে সখীপুর উপজেলার ওই তরুণীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী সিঙ্গাপুর চলে যান। দুই বছর পরপর স্বামী বাড়ি আসেন। এরই মধ্যে ওই নারীর সঙ্গে বহুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রোমান খানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর মাঝে গত মার্চে ছুটিতে বাড়ি আসেন স্বামী এবং দ্বিতীয় রোজায় সিঙ্গাপুর চলে যান। থানায় অভিযোগে বলা হয়, গতকাল শনিবার সকালে চম্পা বেগম তার ১৯ মাসের ছেলেকে বাসায় রেখে প্রেমিক রোমান খানের সঙ্গে পালিয়ে যান। এ সময় তার বাবা ও স্বামীর দেওয়া ৮-৯ ভরি স্বর্ণালংকার এবং আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা ধার নিয়ে যান। এ ঘটনার পর তার শ্বশুর মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ওই নারীর শ্বশুর বলেন, ‘সংসারে সচ্ছলতা আনতে আমার ছেলে সিঙ্গাপুরে প্রবাস জীবন কাটাচ্ছেন। গত মাসে ছেলে বাড়ি এসেছিল। ছেলের দেওয়া টাকা, স্বর্ণালংকার এবং আত্মীয়দের কাছ থেকেও টাকা ধার নিয়ে পালিয়ে গেছে ছেলের স্ত্রী। এখন ছোট নাতিকে নিয়ে বিপাকে পড়েছি। সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।’ রোমান খানের বাবা আওলাদ খান বলেন, ‘ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছে না। শুনেছি কী ঘটনা যেন সে ঘটিয়েছে।’ এ কথা শেষে ব্যস্ত আছেন বলেই সংযোগ বিচ্ছন্ন করে দেন। রোমান খানের চাচাতো ভাই বলেন, ‘বয়স কম। না বুঝে এমন কাজ করেছে। আমরা সমাধান করার চেষ্টা করছি।’
বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য গোপাল শিকদার বলেন, ‘টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়েছেন প্রবাসীর স্ত্রী।’ মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’