লালমনিরহাটের আদিতমারীর দুর্গাপুর ও নওগাঁর পোরশা সীমান্তে দুই বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে হত্যার পর মরদেহ নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল সোমবার রাতে আদিতমারীর দূর্গাপুর বিওপি সীমান্তের ৯২৩ নাম্বার পিলারের কাছে ভারতের ৭৫ গজ অভ্যন্তরে ও আজ মঙ্গলবার ভোরে পোরশা সীমান্তের-পিআর ৩১/১০ নং পিলারের কাছে সীমান্তের ওপারে ভারতীয় অংশে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী এলাকার মোকছেদুল রহমানের ছেলে লিটন (১৯) ও পোরশার বিঞ্চুপুর এলাকার সিদ্দিক মিয়ার ছেলে আলামিন (২৮)।
জানা যায়, কোচবিহার জেলার সিতাই থানার কৈমারী ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক লিটন নিহত হন। পরে বিএসএফ সদস্যরা মরদেহ নিয়ে যায়। লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য নবিকুল ইসলাম বলেন, দূর্গাপুর বিওপি সীমান্তের ৯২৩ নাম্বার পিলারের কাছে ভারতের ৭৫ গজ অভ্যন্তরে বিএসএফের গুলিতে লিটন নামে এক যুবক নিহত হন। সোমবার রাত থেকেই আমরা মরদেহের জন্য সীমান্তে অপেক্ষা করছি। কিন্তু বিএসএফ এখনো মরদেহ ফেরত দেয়নি।
এ দিকে সোমবার সঙ্গীদের নিয়ে গরু আনতে যান আলামিন। গরু নিয়ে ফেরার পথে পোরশা সীমান্তের-পিআর ৩১-১০ পিলারের কাছে দাল্লা সীমান্তের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আলামিন। এরপর মরদেহ নিয়ে যান বিএসএফ সদস্যরা। নওগাঁ-১৬ বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘ভারতের অভ্যন্তরে একজন মারা গেছেন। এ ব্যাপারে পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হবে।