আজ রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
Logo কামালনগর ঈদগাহ বাজার কমিটির দ্বি- বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত Logo ইসলামকাটি ইউনিয়ন পরিষদ হতে মনোহরপুর ঋষিপাড়া পর্যন্ত রাস্তাটি মরণফাঁদে পরিণত,দেখার কেউ নেই Logo নর্থ ওয়েস্টার্নকে হারিয়ে চূড়ান্ত পর্বে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় Logo ডেঙ্গুতে আরো ১০ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৮৮৬ Logo সাতক্ষীরায় জমি না দেওয়ায় মিথ্যা মামলায় হয়রানি: প্রতিবাদের সংবাদ সম্মেলন Logo কপোতাক্ষ নদ থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার Logo সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সভাপতি শাহ আলম, সম্পাদক ইমদাদুল Logo জ্বালানি তেলের মূল্য ১০-১৫ টাকা কমানো সম্ভব: সিপিডি Logo অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা, সাতক্ষীরা সীমান্তে আটক ২ Logo সাতক্ষীরায় সাফ চ্যাম্পিয়ন সাবিনা, মাছুরা ও আফঈদাকে গণসংবর্ধনা
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01971 211241

পোড়ানোর আগেই নিভে যাওয়া অগ্নিস্ফুলিঙ্গ রিকার্ডো পাওয়েল

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ০৯:১৫:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪
  • ১০৬ বার পড়া হয়েছে

দুর্দান্ত প্রতিভা নিয়ে ক্রিকেট দুনিয়া মাতাতে এসেছিলেন এক ক্যারিবিয়ান তরুণ। বিশ্বকাপে অভিষেক হওয়া হাতেগোনা কয়েকজন ক্রিকেটারের মধ্যে তিনি ছিলেন। কিন্তু ব্যর্থ হওয়ায় বাদ পড়েন পুরো টুর্নামেন্ট থেকেই। তবে ফিরেই পরের ম্যাচে করেন ফিফটি। এরপর নিজের চতুর্থ ম্যাচে ভারতের টপক্লাস বোলিং অ্যাটাকের বিপক্ষে চার-ছয়ের ঝড় তুলে বিপদের মুহূর্তে দলকে ম্যাচ জিতিয়ে আলোচনায় আসেন। সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ানের রেকর্ড গড়েন। যেটা এখনো পর্যন্ত কেউ ভাঙতে পারেনি। বলছি ওয়েস্ট ইন্ডিজের হার্টহিটার ব্যাটসম্যান রিকার্ডো পাওয়েলের কথা। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ও ভয়ডরহীন মানসিকতার কারণে রিকার্ডো পাওয়েলকে একসময় মনে করা হত স্যার ভিভ রিচার্ডসের উত্তরসূরি। কিন্তু ক্লাস, সামর্থ্য কিংবা যোগ্যতায় ভিভের ধারেকাছেও যেতে পারেননি তিনি। তবে ভিভকে তিনি ছাড়িয়েছিলেন একটা জায়গায়, স্ট্রাইক রেটে! ওয়ানডেতে ১ সেঞ্চুরি ও ৮ ফিফটিতে ২০৮৫ রান করা রিকার্ডো পাওয়েলের স্ট্রাইক রেট ৯৬.৬৬! ১০০ ইনিংসে হাঁকিয়েছেন ৭৫ টি ছক্কা! এখানে জানিয়ে রাখা জরুরি যে, ওয়ানডেতে কমপক্ষে ২০০০ রান করা ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানদের মধ্যে পাওয়েলের স্ট্রাইকরেটই সর্বোচ্চ!

ওয়ানডে ইতিহাসের অন্যতম সেরা ‘ক্লিন হিটার’ রিকার্ডো পাওয়েল বিখ্যাত ছিলেন তাঁর ছোট্ট কিন্তু কার্যকর সব ‘ক্যামিও’ ইনিংসের জন্য। ২০০৩ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ৩ রানে জেতা ম্যাচের ‘টার্নিং পয়েন্ট’ ধরা হয় পাওয়েলের এরকমই একটি ক্যামিও ইনিংসকে। পাওয়েল সেদিন ১৮ বলে ৪০ রান না করলে লারার দুর্দান্ত সেঞ্চুরিটা হয়ত বৃথাই যেত! ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপের মঞ্চে ওয়ানডে অভিষেক হয় পাওয়েলের। ওই বছরই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গায়ে জড়ান ক্রিকেটের অভিজাত ফরম্যাট টেস্টের জার্সি। ২০০৪ সালে ইল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট আর ২০০৫ সালে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে বিদায় জানান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে। পুরো ক্যারিয়ারে পাওয়েল টেস্ট খেলেছে মাত্র ২টি। ৩ ইনিংসে ব্যাট হাতে করেছে ৫৩ রান। ১০৯ ওয়ানডেতে রান করেছেন ২ হাজার ৮৫। সেঞ্চুরি আছে ১টি আর হাফসেঞ্চুরি ৮টি। যার মধ্যে ৩টিই বাংলাদেশের বিপক্ষে। এমন প্রতিভা নিয়েও পাওয়েল যেটা করেছেন সেটাকে প্রতিভার অপচয় ছাড়া আর কিছুই বলে না। কিংবদন্তি মাইকেল হোল্ডিং যথার্থই বলেছেন, ‘প্রতিভার কী নিদারুণ অপচয়!’

পুরো নাম- রিকার্ডো লয়েড পাওয়েল। জন্ম- ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭৮ সাল। জন্মস্থান- সেন্ট এলিজাবেথ, জ্যামাইকা। রাশি: ধনু রাশি। প্রিয় খেলা: ক্রিকেট। প্রিয় খাবার: সামুাদ্রক মাছ, মাংসের ঝোল। প্রিয় পানীয়: বিয়ার। প্রিয় রং: কালো। প্রিয় ক্রিকেটার: ভিভ রিচার্ডস। প্রিয় ক্রিকেট দল: ওয়েস্ট ইন্ডিস ক্রিকেট দল। প্রিয় সতীর্থ: ব্রায়ান লারা। প্রিয় গাড়ি: অডি। প্রিয় স্টেডিয়াম: অ্যান্টিগা রিক্রিয়েশন গ্রাউন্ড। প্রিয় শখ: ভ্রমণ, সিনেমা দেখা। প্রিয় জুতার ব্র‌্যান্ড: অ্যাডিডাস।

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

কামালনগর ঈদগাহ বাজার কমিটির দ্বি- বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

পোড়ানোর আগেই নিভে যাওয়া অগ্নিস্ফুলিঙ্গ রিকার্ডো পাওয়েল

আপডেট সময়: ০৯:১৫:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪

দুর্দান্ত প্রতিভা নিয়ে ক্রিকেট দুনিয়া মাতাতে এসেছিলেন এক ক্যারিবিয়ান তরুণ। বিশ্বকাপে অভিষেক হওয়া হাতেগোনা কয়েকজন ক্রিকেটারের মধ্যে তিনি ছিলেন। কিন্তু ব্যর্থ হওয়ায় বাদ পড়েন পুরো টুর্নামেন্ট থেকেই। তবে ফিরেই পরের ম্যাচে করেন ফিফটি। এরপর নিজের চতুর্থ ম্যাচে ভারতের টপক্লাস বোলিং অ্যাটাকের বিপক্ষে চার-ছয়ের ঝড় তুলে বিপদের মুহূর্তে দলকে ম্যাচ জিতিয়ে আলোচনায় আসেন। সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ানের রেকর্ড গড়েন। যেটা এখনো পর্যন্ত কেউ ভাঙতে পারেনি। বলছি ওয়েস্ট ইন্ডিজের হার্টহিটার ব্যাটসম্যান রিকার্ডো পাওয়েলের কথা। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ও ভয়ডরহীন মানসিকতার কারণে রিকার্ডো পাওয়েলকে একসময় মনে করা হত স্যার ভিভ রিচার্ডসের উত্তরসূরি। কিন্তু ক্লাস, সামর্থ্য কিংবা যোগ্যতায় ভিভের ধারেকাছেও যেতে পারেননি তিনি। তবে ভিভকে তিনি ছাড়িয়েছিলেন একটা জায়গায়, স্ট্রাইক রেটে! ওয়ানডেতে ১ সেঞ্চুরি ও ৮ ফিফটিতে ২০৮৫ রান করা রিকার্ডো পাওয়েলের স্ট্রাইক রেট ৯৬.৬৬! ১০০ ইনিংসে হাঁকিয়েছেন ৭৫ টি ছক্কা! এখানে জানিয়ে রাখা জরুরি যে, ওয়ানডেতে কমপক্ষে ২০০০ রান করা ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানদের মধ্যে পাওয়েলের স্ট্রাইকরেটই সর্বোচ্চ!

ওয়ানডে ইতিহাসের অন্যতম সেরা ‘ক্লিন হিটার’ রিকার্ডো পাওয়েল বিখ্যাত ছিলেন তাঁর ছোট্ট কিন্তু কার্যকর সব ‘ক্যামিও’ ইনিংসের জন্য। ২০০৩ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ৩ রানে জেতা ম্যাচের ‘টার্নিং পয়েন্ট’ ধরা হয় পাওয়েলের এরকমই একটি ক্যামিও ইনিংসকে। পাওয়েল সেদিন ১৮ বলে ৪০ রান না করলে লারার দুর্দান্ত সেঞ্চুরিটা হয়ত বৃথাই যেত! ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপের মঞ্চে ওয়ানডে অভিষেক হয় পাওয়েলের। ওই বছরই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গায়ে জড়ান ক্রিকেটের অভিজাত ফরম্যাট টেস্টের জার্সি। ২০০৪ সালে ইল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট আর ২০০৫ সালে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে বিদায় জানান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে। পুরো ক্যারিয়ারে পাওয়েল টেস্ট খেলেছে মাত্র ২টি। ৩ ইনিংসে ব্যাট হাতে করেছে ৫৩ রান। ১০৯ ওয়ানডেতে রান করেছেন ২ হাজার ৮৫। সেঞ্চুরি আছে ১টি আর হাফসেঞ্চুরি ৮টি। যার মধ্যে ৩টিই বাংলাদেশের বিপক্ষে। এমন প্রতিভা নিয়েও পাওয়েল যেটা করেছেন সেটাকে প্রতিভার অপচয় ছাড়া আর কিছুই বলে না। কিংবদন্তি মাইকেল হোল্ডিং যথার্থই বলেছেন, ‘প্রতিভার কী নিদারুণ অপচয়!’

পুরো নাম- রিকার্ডো লয়েড পাওয়েল। জন্ম- ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭৮ সাল। জন্মস্থান- সেন্ট এলিজাবেথ, জ্যামাইকা। রাশি: ধনু রাশি। প্রিয় খেলা: ক্রিকেট। প্রিয় খাবার: সামুাদ্রক মাছ, মাংসের ঝোল। প্রিয় পানীয়: বিয়ার। প্রিয় রং: কালো। প্রিয় ক্রিকেটার: ভিভ রিচার্ডস। প্রিয় ক্রিকেট দল: ওয়েস্ট ইন্ডিস ক্রিকেট দল। প্রিয় সতীর্থ: ব্রায়ান লারা। প্রিয় গাড়ি: অডি। প্রিয় স্টেডিয়াম: অ্যান্টিগা রিক্রিয়েশন গ্রাউন্ড। প্রিয় শখ: ভ্রমণ, সিনেমা দেখা। প্রিয় জুতার ব্র‌্যান্ড: অ্যাডিডাস।