আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায় বিশাল একটি গণকবরের সন্ধান মিলেছে। দক্ষিণ-পশ্চিম লিবিয়ায় এই গণকবর পাওয়া গেছে। এই গণকবরে অন্তত ৬৫ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ রয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২২ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ। খবর বিবিসির। বহু বছর ধরেই মানবপাচারের অন্যতম ভয়ংকর রুট হয়ে উঠেছে লিবিয়া। এই দেশ থেকে ইউরোপে পাড়ি দিতে গিয়ে বছরে কত মানুষ মারা যায় তার সঠিক হিসাব জানাও কষ্টকর। শুধু ভূমধ্যসাগরে ডুবেই নয়, নির্যাতন আর জিম্মি অবস্থায় মারা যায় শত শত মানুষ। বিভিন্ন সময় পাচারচক্রের ভয়ংকর সব তথ্য উঠে আসলেও তা কোনোভাবেই নির্মূল করা যাচ্ছে না। জাতিসংঘের অভিবাসনবিষয়ক সংস্থা আইওএম বলছে, ঠিক কোন পরিস্থিতিতে এসব অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে এবং তাদের জাতীয়তা কী তা এখনো অজানা। তবে তাদের বিশ্বাস, মরুভূমির মধ্য দিয়ে ভূমধ্যসাগরের দিকে পাচার হওয়ার সময় এসব অভিবাসী মারা গেছেন। অথবা তাদের আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায় করার চেষ্টা করা হয়। পরে তাদের সবার মৃত্যু হয়। এরপর দেওয়া হয় গণকবর।
বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, গণকবরটি দক্ষিণ-পশ্চিম লিবিয়ায় পাওয়া গেছে। এখন ঘটনাটি লিবিয়া তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে আইওএম। সংস্থাটির একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘অভিবাসীদের নিখোঁজ বা প্রাণহানির প্রতিটি খবরই এক-একটি শোকার্ত পরিবারকে প্রতিনিধিত্ব করে। ওইসব পরিবার তাদের প্রিয়জনদের সন্ধান হয়তো এখনো করছেন। এমনকি তারা অপেক্ষায় আছেন স্বজনের সন্ধানের।’ বলা হচ্ছে, ‘ক্রমবর্ধমান এই মৃত্যু এবং অভিবাসীরা যে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্যে পড়ছেন তাতে এটা স্পষ্ট যে, মানব পাচার রোধে কোনো পদক্ষেপই কাজে আসছে না। আইওএম বলছে, সর্বশেষ এই গণকবরের সন্ধানের ঘটনা আবারও জানান দিয়েছে অভিবাসীদের চোরাচালান কতটা বিষফোড়া হয়ে উঠেছে।
বিবিসি বলছে, ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় কমপক্ষে ৬০ জন অভিবাসীর মৃত্যুর ঘটনার পর গণকবরের বিষয়টি সামনে এলো। এর আগে আইওএম এই মাসের শুরুতে বলেছিল, এক দশক আগে রেকর্ড রাখা শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২৩ সালটি ছিল অভিবাসীদের জন্য সবচেয়ে প্রাণঘাতী বছর। গত বছর বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন অভিবাসন রুটে কমপক্ষে ৮ হাজার ৫৬৫ জন মারা গেছে।