আজ শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
Logo সাতক্ষীরায় জমি না দেওয়ায় মিথ্যা মামলায় হয়রানি: প্রতিবাদের সংবাদ সম্মেলন Logo কপোতাক্ষ নদ থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার Logo সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সভাপতি শাহ আলম, সম্পাদক ইমদাদুল Logo জ্বালানি তেলের মূল্য ১০-১৫ টাকা কমানো সম্ভব: সিপিডি Logo অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা, সাতক্ষীরা সীমান্তে আটক ২ Logo সাতক্ষীরায় সাফ চ্যাম্পিয়ন সাবিনা, মাছুরা ও আফঈদাকে গণসংবর্ধনা Logo ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ৮ দিনে সাড়ে ৬ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি Logo জলবায়ু ন্যায্যতার দাবীতে সাতক্ষীরাতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo ৬ দফা দাবিতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের মানববন্ধন Logo জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01971 211241

অজিদের দুরন্ত ‘পায়রা’ গ্লেন ম্যাকগ্রা

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ১০:৫৩:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪
  • ১১৯ বার পড়া হয়েছে

টিপিকাল অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের মতো তার বলে গতি ছিল না। কিন্তু উভয়দিক বল সুইং করানোর প্রবণতা এবং অ্যাকুরেসিই ছিল ম্যাকগ্রার বোলিংয়ের মূল অস্ত্র। শারীরিক উচ্চতা ৬ ফুট ৫ ইঞ্চি হওয়ার কারণে নিজের বোলিংয়ে পেতেন বাউন্সও। পা জোড়া লম্বা হওয়ার কারণে নিজ দলের সতীর্থরা তাকে ডাকতেন ‘দ্য পিজিয়ন’। ১৯৭০ সালে নিউ সাউথ ওয়েলসের ডুব্বো শহরে জন্ম গ্লেন ম্যাকগ্রার। সেখান থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে ন্যারোমিন শহরে তার বেড়ে ওঠা, ক্রিকেট খেলা। ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে, ২৩ বছর বয়সে নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে প্রথম খেলা, দ্রুত পাদপ্রদীপের আলোয় আসা ও মাত্র আটটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার পরেই অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলে ঢুকে পড়া। ১৯৯৩ সালে পার্থে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট খেলেন তিনি।

১৯৯৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হলেও ম্যাকগ্রার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় টার্নিং পয়েন্ট ১৯৯৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ। সে সিরিজে তিনি নিয়েছিলেন ১৭ উইকেট, তাও আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে। ২০০৭ সালে সিডনিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন নিজের টেস্ট ম্যাচটি। এর আগে ১২৪ টেস্টে ২১.৬৪ গড়ে শিকার করেন ৫৬৩ উইকেট। ২২.০২ গড়ে ওয়ানডেতে তার শিকার ২৫০ উইকেট। আর দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তার শিকার ৫ উইকেট। টেস্ট ক্রিকেটে ম্যাকগ্রার সর্বোচ্চ বোলিং ফিগার ২৪ রান খরচায় ৮ উইকেট শিকার। ওয়ানডেতে সেটা ১৫ রানে ৭ উইকেট। আর টি-টোয়েন্টিতে ৩১ রানে ৩ উইকেট। ১৯৯৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তার বোলিং নেতৃত্বেই উড়ে বেড়াত অস্ট্রেলিয়া। তিনি যেন ছিলেন অজিদের বোলিং ‘পায়রা’। এ সময় অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল ৩ বিশ্বকাপ (১৯৯৯, ২০০৩ আর ২০০৭)। তার বোলিংয়ের নৈপুণ্য এবং ঘাতকশক্তি ১৪ বছরের মতো একটা দীর্ঘ সময় ধরে অবশ করে রেখেছিল বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্যাটকে।

পুরো নাম- গ্লেন ডোনাল্ড ম্যাকগ্রা, জন্ম- ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭০ সাল, জন্মস্থান- ডুব্বো, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া। রাশি: কুম্ভ রাশি, প্রিয় খেলা: ক্রিকেট, প্রিয় খাবার: চিকেন সুসী, সামুদ্রিক মাছ। প্রিয় পানীয়: ফ্রুট জুস প্রিয় রং: লাল, সাদা। প্রিয় ক্রিকেটার: রিচার্ড হ্যাডলি । প্রিয় ব্যাটার: শচীন টেন্ডুলকার। প্রিয় বোলার: ডেনিস লিলি। প্রিয় ক্রিকেট দল: অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। প্রিয় সতীর্থ: শেন ওয়ার্ন। প্রিয় গাড়ি: অডি। প্রিয় শখ: ভ্রমণ, স্কাই ড্রাইভিং, স্কুবা ড্রাইভিং। প্রিয় জুতার ব্র‌্যান্ড: অ্যাডিডাস।

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সাতক্ষীরায় জমি না দেওয়ায় মিথ্যা মামলায় হয়রানি: প্রতিবাদের সংবাদ সম্মেলন

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

অজিদের দুরন্ত ‘পায়রা’ গ্লেন ম্যাকগ্রা

আপডেট সময়: ১০:৫৩:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

টিপিকাল অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের মতো তার বলে গতি ছিল না। কিন্তু উভয়দিক বল সুইং করানোর প্রবণতা এবং অ্যাকুরেসিই ছিল ম্যাকগ্রার বোলিংয়ের মূল অস্ত্র। শারীরিক উচ্চতা ৬ ফুট ৫ ইঞ্চি হওয়ার কারণে নিজের বোলিংয়ে পেতেন বাউন্সও। পা জোড়া লম্বা হওয়ার কারণে নিজ দলের সতীর্থরা তাকে ডাকতেন ‘দ্য পিজিয়ন’। ১৯৭০ সালে নিউ সাউথ ওয়েলসের ডুব্বো শহরে জন্ম গ্লেন ম্যাকগ্রার। সেখান থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে ন্যারোমিন শহরে তার বেড়ে ওঠা, ক্রিকেট খেলা। ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে, ২৩ বছর বয়সে নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে প্রথম খেলা, দ্রুত পাদপ্রদীপের আলোয় আসা ও মাত্র আটটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার পরেই অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলে ঢুকে পড়া। ১৯৯৩ সালে পার্থে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট খেলেন তিনি।

১৯৯৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হলেও ম্যাকগ্রার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় টার্নিং পয়েন্ট ১৯৯৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ। সে সিরিজে তিনি নিয়েছিলেন ১৭ উইকেট, তাও আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে। ২০০৭ সালে সিডনিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন নিজের টেস্ট ম্যাচটি। এর আগে ১২৪ টেস্টে ২১.৬৪ গড়ে শিকার করেন ৫৬৩ উইকেট। ২২.০২ গড়ে ওয়ানডেতে তার শিকার ২৫০ উইকেট। আর দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তার শিকার ৫ উইকেট। টেস্ট ক্রিকেটে ম্যাকগ্রার সর্বোচ্চ বোলিং ফিগার ২৪ রান খরচায় ৮ উইকেট শিকার। ওয়ানডেতে সেটা ১৫ রানে ৭ উইকেট। আর টি-টোয়েন্টিতে ৩১ রানে ৩ উইকেট। ১৯৯৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তার বোলিং নেতৃত্বেই উড়ে বেড়াত অস্ট্রেলিয়া। তিনি যেন ছিলেন অজিদের বোলিং ‘পায়রা’। এ সময় অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল ৩ বিশ্বকাপ (১৯৯৯, ২০০৩ আর ২০০৭)। তার বোলিংয়ের নৈপুণ্য এবং ঘাতকশক্তি ১৪ বছরের মতো একটা দীর্ঘ সময় ধরে অবশ করে রেখেছিল বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্যাটকে।

পুরো নাম- গ্লেন ডোনাল্ড ম্যাকগ্রা, জন্ম- ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭০ সাল, জন্মস্থান- ডুব্বো, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া। রাশি: কুম্ভ রাশি, প্রিয় খেলা: ক্রিকেট, প্রিয় খাবার: চিকেন সুসী, সামুদ্রিক মাছ। প্রিয় পানীয়: ফ্রুট জুস প্রিয় রং: লাল, সাদা। প্রিয় ক্রিকেটার: রিচার্ড হ্যাডলি । প্রিয় ব্যাটার: শচীন টেন্ডুলকার। প্রিয় বোলার: ডেনিস লিলি। প্রিয় ক্রিকেট দল: অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। প্রিয় সতীর্থ: শেন ওয়ার্ন। প্রিয় গাড়ি: অডি। প্রিয় শখ: ভ্রমণ, স্কাই ড্রাইভিং, স্কুবা ড্রাইভিং। প্রিয় জুতার ব্র‌্যান্ড: অ্যাডিডাস।