আজ বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
Logo জলবায়ু ন্যায্যতার দাবীতে সাতক্ষীরাতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo ৬ দফা দাবিতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের মানববন্ধন Logo জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন Logo সাতক্ষীরায় স্বর্ণের গহনাসহ ডাকাত দলের সদস্য গ্রেপ্তার Logo পাটকেলঘাটায় সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধ নিহত Logo গণসচেতনতা সৃষ্টি ও সততার চর্চায় শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে সাতক্ষীরায় মতবিনিময় Logo ভুমিহীন পরিবারকে উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট ও মারপিটের অভিযোগ Logo সাতক্ষীরায় জলবায়ু সুবিচারের দাবিতে পদযাত্রা Logo জনবসতি এলাকার কৃষি জমি থেকে বালু উত্তোলন, পরিবশে ঝুঁকিতে Logo সেনা অভিযানে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার তিন
বিজ্ঞাপন দিন
জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয় পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন। মেসার্স রুকাইয়া এড ফার্ম -01971 211241

সিনেমা দেখে অস্ত্র রাখার পরিকল্পনা করেন ছাত্রকে গুলি করা সেই ডাক্তার

  • রিপোর্টার
  • আপডেট সময়: ০৬:১৪:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪
  • ১৬০ বার পড়া হয়েছে

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীকে গুলি করে আলোচনায় আসা সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফের পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি জুলহাজ উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সকালে রায়হান শরীফকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। পরে তাকে বিকেলে আদালতে হাজির করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে (ডিবি) পুলিশের ওসি জুলহাজ উদ্দীন বলেন, একজন শিক্ষক হয়েও রায়হান শরীফ কেন অস্ত্র-গুলি নিজের সংগ্রহে রাখতে গেলেন; তার প্রকৃত কারণ বের করার চেষ্টা করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে রায়হান শরীফ জানান, ভারতীয় ক্রাইম হিন্দি সিনেমা দআব-তাক ছপ্পান’ দেখে অনুপ্রাণিত হয়েই তিনি অস্ত্র কিনেছেন। ভারতের বিভিন্ন হিন্দি সিনেমা দেখেই মূলত নিজের কাছে এমন অস্ত্র রাখার পরিকল্পনা করতে শুরু করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই রায়হান অস্ত্রের ব্যাপারে খোঁজ নেন। তবে উপযুক্ত সোর্স না পাওয়ায় তার পরিকল্পনা সফল করতে একটু সময় লেগে যায়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে রাজশাহী শহরে তার পূর্বপরিচিত এক ব্যক্তির মাধ্যমে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা এলাকায় এক অস্ত্র কারবারির সঙ্গে পরিচয় হয়। রায়হান নিজেই কুষ্টিয়ায় গিয়ে প্রথমে একটি অস্ত্র কেনেন। গত ডিসেম্বরে আবার কুষ্টিয়া গিয়ে ওই একই ব্যক্তির কাছ থেকে আরেকটি অস্ত্র কেনেন। সেখান থেকেই তিনি গুলিও কেনেন। তিনি অনলাইনে ছবি দেখে বিদেশি চাকু সংগ্রহ শুরু করেন। শখের বশে অস্ত্র, গুলি ও চাকু কিনে সংগ্রহ করতেন রায়হান শরীফ। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আরও কিছু অস্ত্র কেনার পরিকল্পনা ছিল তার। অস্ত্র ব্যবহার করে অবৈধ কোনো কাজ করার ছক রায়হানের ছিল কি না, এমন কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত রায়হানের কাছে অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে একজনের নাম পাওয়া গেছে। এই চক্রে আরও কেউ রয়েছেন কি না, তা জানার চেষ্টা চলছে। সেই সঙ্গে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্লু পেয়েছি। যেখান থেকে রায়হান শরীফ অস্ত্র কিনেছিলেন; সেই ব্যক্তি পেশাদার অস্ত্র কারবারি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে পুলিশ। উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ বিকেলে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজের শ্রেণিকক্ষে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সময় তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিনের পায়ে গুলি করেন প্রভাষক রায়হান শরীফ। ওই শিক্ষকের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল ও ৮১টি গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রায়হানের বিরুদ্ধে সদর থানায় দু’টি মামলা হয়েছে। অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১১ মার্চ আদালত তার (রায়হান) পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ঘটনার পরের দিন (৫ মার্চ) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ৭ মার্চ শিক্ষক রায়হান শরীফকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বাস্থ্য বিভাগ।

ট্যাগস:

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জলবায়ু ন্যায্যতার দাবীতে সাতক্ষীরাতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

সিনেমা দেখে অস্ত্র রাখার পরিকল্পনা করেন ছাত্রকে গুলি করা সেই ডাক্তার

আপডেট সময়: ০৬:১৪:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীকে গুলি করে আলোচনায় আসা সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফের পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি জুলহাজ উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সকালে রায়হান শরীফকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। পরে তাকে বিকেলে আদালতে হাজির করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে (ডিবি) পুলিশের ওসি জুলহাজ উদ্দীন বলেন, একজন শিক্ষক হয়েও রায়হান শরীফ কেন অস্ত্র-গুলি নিজের সংগ্রহে রাখতে গেলেন; তার প্রকৃত কারণ বের করার চেষ্টা করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে রায়হান শরীফ জানান, ভারতীয় ক্রাইম হিন্দি সিনেমা দআব-তাক ছপ্পান’ দেখে অনুপ্রাণিত হয়েই তিনি অস্ত্র কিনেছেন। ভারতের বিভিন্ন হিন্দি সিনেমা দেখেই মূলত নিজের কাছে এমন অস্ত্র রাখার পরিকল্পনা করতে শুরু করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই রায়হান অস্ত্রের ব্যাপারে খোঁজ নেন। তবে উপযুক্ত সোর্স না পাওয়ায় তার পরিকল্পনা সফল করতে একটু সময় লেগে যায়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে রাজশাহী শহরে তার পূর্বপরিচিত এক ব্যক্তির মাধ্যমে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা এলাকায় এক অস্ত্র কারবারির সঙ্গে পরিচয় হয়। রায়হান নিজেই কুষ্টিয়ায় গিয়ে প্রথমে একটি অস্ত্র কেনেন। গত ডিসেম্বরে আবার কুষ্টিয়া গিয়ে ওই একই ব্যক্তির কাছ থেকে আরেকটি অস্ত্র কেনেন। সেখান থেকেই তিনি গুলিও কেনেন। তিনি অনলাইনে ছবি দেখে বিদেশি চাকু সংগ্রহ শুরু করেন। শখের বশে অস্ত্র, গুলি ও চাকু কিনে সংগ্রহ করতেন রায়হান শরীফ। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আরও কিছু অস্ত্র কেনার পরিকল্পনা ছিল তার। অস্ত্র ব্যবহার করে অবৈধ কোনো কাজ করার ছক রায়হানের ছিল কি না, এমন কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত রায়হানের কাছে অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে একজনের নাম পাওয়া গেছে। এই চক্রে আরও কেউ রয়েছেন কি না, তা জানার চেষ্টা চলছে। সেই সঙ্গে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্লু পেয়েছি। যেখান থেকে রায়হান শরীফ অস্ত্র কিনেছিলেন; সেই ব্যক্তি পেশাদার অস্ত্র কারবারি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে পুলিশ। উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ বিকেলে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজের শ্রেণিকক্ষে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সময় তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিনের পায়ে গুলি করেন প্রভাষক রায়হান শরীফ। ওই শিক্ষকের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল ও ৮১টি গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রায়হানের বিরুদ্ধে সদর থানায় দু’টি মামলা হয়েছে। অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১১ মার্চ আদালত তার (রায়হান) পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ঘটনার পরের দিন (৫ মার্চ) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ৭ মার্চ শিক্ষক রায়হান শরীফকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বাস্থ্য বিভাগ।