মাগুরা থেকে ইজিবাইক ছিনতাইকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে যশোর পিবিআই সদস্যরা। তারা প্রথমে যাত্রী সেজে ইজিবাইকে উঠে চালকের সাথে গড়ে তোলে সুসম্পর্ক। কথার ছলে পানি কিংবা জুসের সাথে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানো হয় চালককে। এরপর অচেতন হয়ে পড়া চালকককে রাস্তায় ফেলে ইজিবাইক নিয়ে চম্পট দেন তারা। এখানেই শেষ নয়, ওই ইজিবাইক শো-রুমে তুলে জাল কাগজপত্র তৈরী করে তা বিক্রি করা হয়।
যশোর পিবিআই কর্মকর্তারা মাগুরা থেকে ইজিবাইক ছিনতাইকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটকের পর এসব তথ্য উঠে এসেছে। একই সাথে উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাই করা ছয়টি ইজিবাইক। আটককৃতরা হলো, গোপালগঞ্জ জেলার কেকানিয়া গ্রামের রাফি শেখ রাব্বি, ঘোড়াদিয়া গ্রামের আশিকুর রহমান শাকিল, মাগুরার খালিয়া গ্রামের আমিনুর ইসলাম, এমেছ লস্কর ও সাতদোহাপাড়া গ্রামের নাইমুল ইসলাম। এসময় পিবিআই’র উপস্থিতি টের পেয়ে এ চক্রের আরও দুই সদস্য পালিয়ে যায়। এরা হলো, মাগুরার বিনোদপুর গ্রামের বাবু শেখ ও এরশাদ শেখ। এ সাতজনের বিরুদ্ধে মণিরামপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পিবিআই যশোরের এসআই রেজওয়ান জানিয়েছেন, মণিরামপুরে একটি ইজিবাইক ছিনতাই হয়। এ ঘটনায় পিবিআই যশোর অফিসে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগিরা। এরপর তারা ঘটনাটির তদন্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে পিবিআই সদস্যরা মাগুরা জেলার বিভিন্ন উপজেলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচ আসামিকে আটক করা হয় ও একই সাথে ৬টি ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়। পিবিআই আরও জানায়, আটককৃতদের মধ্যে রাব্বি ও শাকিলসহ আরও কয়েকজন যশোর জেলার মণিরামপুর ও কেশবপুর এলাকা থেকে ইজিবাইক ছিনতাই করে সরাসরি চলে যায় মাগুরায়। পরে সেসব ইজিবাইক আমিনুর ও এমছের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা একসাথে ওইসব পুরাতন বাইকগুলো নাইমুলের শিকদার অটো হাউজে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে জালকাগজপত্র তৈরী করে চোরাই বাইক শো-রুমে নিয়ে বৈধ বলে বিক্রি করে।
এদিকে, একটি ইজিবাইকের মালিকের সন্ধান পাওয়া গেলেও অপর পাঁচটি বাইকের মালিককে খুজছে পিবিআই যশোরের সদস্যরা। খোয়া যাওয়া ইজিবাইক ফিরে পেতে পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ নিয়ে পিবিআই অফিসে যোগাযোগের আহবান জানিয়েছেন পিবিআই কর্মকর্তার।